‘ভাইরাল রনি’র তরমুজ ব্যবসা লাটে, রাগে আত্মহত্যার হুমকি!

ভালোই চলছিল তরমুজ বিক্রি করে। কিন্তু কাল হলো ভাইরাল হয়ে? কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের ঠ্যালায় রীতিমতো ডকে উঠেছে ঢাকার কারওয়ান বাজারের সেই ভাইরাল রনির ব্যবসা।

অনেকেই ভাবেন, ‘ভাইরাল হওয়া মানেই চকচক করবে ভাগ্য’। অনেক ক্ষেত্রে তা হয়েওছে। কিন্তু রনির ক্ষেত্রে বিষয়টা একেবারে উল্টে গেল। কেঁদে অসহায়তার কথা জানিয়েও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে দিয়েছেন আত্মহত্যার হুমকিও।

রনি ভাইরাল হওয়ার পর নেটদুনিয়ার সব নিয়ম মেনেই তার ঠ্যালার সামনে হামলে পড়েছিলেন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা। প্রথম প্রথম সেই ফেম বেশ উপভোগও করছিলেন রনি। প্রতিদিনই তার দোকানে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের ভিড় বাড়ছিল। ফলে ক্রেতারা এই তরমুজ বিক্রেতার দোকান এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। ফলে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা লাখ লাখ টাকা রোগজার করলেও রনির আর্থিক পরিস্থিতি খাদের ধারে এসে ঠেকেছে।

সম্প্রতি তার কান্নার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি দাবি করেছেন, বিক্রি না করে প্রায় দেড় লাখ টাকার তরমুজ নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে। রনি বলেন, ‘আমাকে এভাবে বিরক্ত করলে আমি গলায় ছুরি দিমু, নয়তো ২৪ তলা থেকে পড়ে আত্মহত্যা করমু। আমার দেড় লাখ টাকার মাল পচে যাচ্ছে। আমি বিক্রি করতে পারছি না।’
তার কান্নার সেই ছবি দেখে সহানুভূতি দেখিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ।

রনি জানান, তিনি ভিডিও করতে নিষেধ করেননি। কিন্তু তাকেও কাজ করতে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। কাতর কণ্ঠে বলেন, ‘আমারে বিরক্ত করবেন না’। নেটিজেনরা রনিকে সুস্থ পরিবেশে ব্যবসা করতে দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন।

এর আগে একাধিক ভাইরাল ব্যক্তিত্ব এই ধরনের খ্যাতির বিড়ম্বনায় ভুগেছিলেন। ভারতের ভুবন বাদ্যকর জানিয়েছিলেন, ‘কাঁচা বাদাম’ গানের ক্রেজ় কমার পর থেকে তাকে আর কেউ ডাকেন না। এ দিকে কাঁচা বাদাম বিক্রির পথেও তিনি আর ফিরতে পারবেন না। ফলে কী ভাবে অর্থ উপার্জন করবেন, তা ভেবে রীতিমতো আতান্তরে পড়েন তিনি।

 

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.