শিক্ষাব্যবস্থায় আসছে বড় পরিবর্তন!

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলাই লক্ষ্য

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে প্রতিটা সেক্টরকে ভাগ ভাগ করে কাজ চলছে।  শিক্ষাখাতকে দুর্নীতিমুক্ত করার পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা তদারকি করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন করারও চিন্তভাবনা চলছে। সম্প্রতি  সম-সাময়িক ইস্যুতে এক সংবাদ সম্মেলন এ বিষয় তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

প্রেস সচিব বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন দপ্তরে প্রমোশন, বদলি ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশাল একটা ঘুষ বাণিজ্য হয়, কমিশন হয়, যত ধরনের দুর্নীতি হয়— সেই জায়গাটা আমরা চিহ্নিত করেছি। এটা নিয়েও কাজ হচ্ছে। শিক্ষায় যত ধরনের দুর্নীতি আছে, সেটা যেন আমরা শিক্ষাক্ষেত্রকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারি। এছাড়া আরও বড় পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা আছে।

শিক্ষকদের মানোন্নয়ন বিষয়ে সরকারের উদ্যোগের কথা জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, শিক্ষক প্রশিক্ষণকে বাইরে (বিভিন্ন দেশে) অনেক বড় বিষয় হিসেবে দেখা হয়। শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হলে শিক্ষকদেরও সেই লেভেলে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু দেখা যায়, সরকারি শিক্ষকরা যতটুকু প্রশিক্ষণের সুযোগ পান, বেসরকারি শিক্ষকরা সেটা পান না। সেটা নিয়ে সরকারের কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম

তথ্য-প্রযুক্তি শিক্ষার আধুনিকায়ন প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, স্কুল-কলেজ পর্যায়ে আইসিটি বিষয়টি সেভাবে যুগোপোযোগী হয়নি। বিশ্বব্যাপী আইসিটি বিষয়টি যে পর্যায়ে চলে গেছে, সে অনুযায়ী আপডেট হয়নি। এটাকে সেভাবে আপডেট করা না গেলে টেকনিক্যাল বিষয়ে আমরা সেভাবে কোয়ালিটিসম্পন্ন ছেলেমেয়ে পাব না। এই জায়গায় কাজ হচ্ছে। বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি, ভোকেশনাল ও কারিগরি শিক্ষাকে একেবারে আপ-টু-ডেট করার পরিকল্পনা আছে।

‘বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন’ গঠনের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ছিল। এখানে মঞ্জুরি শব্দটা বাদ দিয়ে ‘বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন’ হবে। কারণ বাংলাদেশে অনেক পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন যাতে আরও বৃহৎ আকারের কাজ করতে পারে। সর্বোচ্চ শিক্ষার মান যাতে আন্তর্জাতিক মানের হয়, সেই কাজ বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, আমাদের অনেক পরিকল্পনা আছে। কিন্তু আমার কথা হলো, আমরা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারব। আমার সময় তো আনলিমিটেড না। আমি একটা কাজ হাতে নিলাম, কিন্তু করতে পারলাম না। সেটা ঠিক না। সেক্ষেত্রে প্রত্যেকটা জিনিস আমরা দেখছি। আমরা কতটুকু করতে পারব, সে অনুযায়ী কাজ করছি। যে জায়গাগুলোতে মানসম্মত পরিবর্তন আসবে, সেই জায়গাগুলোতে আমরা বেশি ফোকাস করছি।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.