ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপার সেমিফাইনালে উরুগুয়ে

কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল-উরুগুয়ে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোল করতে পারেনি কোনো দলই। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। আর এতে বাজিমাত করে উরুগুয়ে।

মূলত টাইব্রেকারের স্নায়ুচাপ সামলাতে পারেনি ব্রাজিল। সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপের পর থেকেই নিজেদের ছন্দ খুঁজে ফেরা দলটি লাস ভেগাসের অ্যালিগায়েন্ট স্টেডিয়ামেও ভিন্ন কিছু করতে পারেনি। দরিভাল জুনিয়র অল্প সময়ে দলটিকে গুছিয়ে তোলার আভাস দিলেও, ফিনিশিং ও মাঝমাঠে তাদের দুর্বলতা টের পাওয়া গেছে হাড়ে হাড়ে। যার সমাপ্তি ঘটিয়ে টাইব্রেকারে উরুগুয়ে জিতেছে ৪-২ গোলে।

পুরো ম্যাচে কেমন উত্তেজনা ছিল সেটি টাইব্রেকারের শুরুর আগমুহূর্তে চোখ রাখলেও টের পাওয়া যায়। কারণ দরিভাল-বিয়েলসার শিষ্যরা তখনও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়েছে। এরপর পেনাল্টি শ্যুট আউটে উরুগুয়ের শুরুটা গোল দিয়ে করেন ফ্রেডরিকো ভালবার্দে। অন্যদিকে, ব্রাজিলের প্রথম শট নিতে এসেই ব্যর্থ অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার মিলিটাও। উরুগুয়ের গোলরক্ষক রচেট সেই শট ফিরিয়ে ব্রাজিলের মনে কাঁপন ধরিয়ে দেন।

পরে অবশ্য ব্রাজিলের হয়ে সফল শট নিয়েছেন আন্দ্রেস পেরেইরা এবং গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি। এ ছাড়া অ্যালিসন বেকার উরুগুইয়ান গিমিনেজের শট ঠেকিয়ে ব্রাজিলকে কিছুটা আশা দিয়েছিলেন। কিন্তু বল জালে মেরে সেই সম্ভাবনার অনেকাংশই ডুবিয়ে দেন ডগলাস লুইস। পরে বিয়েলসার শিষ্যদের মধ্য থেকে বেন্টেকার, আরাকাস্টার পর ম্যানুয়াল উগার্তে গোল করে সেলেসাওদের কফিনে শেষ পেরেক ঠোকেন। ম্যাচ জয়ের উল্লাসে মাতে উরুগুয়ে, আর আবারও স্বপ্নভঙ্গের হতাশায় ডগলাস-মিলিটাওরা।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.