বোলিং হ্যাটট্রিকে ইতিহাস গড়লেন নোমান

ব্যাটের সামনে ওত পেতে থাকা বাবর আজম ক্যাচটা নিয়েই বসেই থাকলেন। একাই। উইকেটকিপারসহ আশপাশের ফিল্ডাররা ছুটলেন বোলিং প্রান্তে নোমান আলীর দিকে। উচ্ছ্বসিত ও উল্লসিত নোমানও ছোটখাটো এক দৌড় শেষ করে বাতাসে ঘুষি ছাড়লেন। পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে এমনটা আগে ঘটেনি।

কেভিন সিনক্লেয়ারের ব্যাট হয়ে বাবরের ওই ক্যাচেই টেস্টে প্রথম পাকিস্তানি স্পিনার হিসেবে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়েছেন নোমান। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) মুলতানে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।

সিনক্লেয়ারকে শর্ট ফরোয়ার্ডে ক্যাচে পরিণত করার আগের দুই বলে জাস্টিন গ্রিভসকে বাবরের ক্যাচ ও তেভিন ইমলাচকে এলবিডব্লিউতে আউট করেছেন নোমান। টেস্টে পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে এটি ষষ্ঠ হ্যাটট্রিক। তবে আগের পাঁচটিই ছিল পেসারদের। পেস-নির্ভর পাকিস্তানের মাটিতে স্পিনাররা হ্যাটট্রিকই পেলেন মাত্র তৃতীয়বার।

১৯৭৬ সালে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে জাভেদ মিয়াঁদাদদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের অফ স্পিনার পিটার প্যাথেরিক। এরপর ২০০৩ সালে বাংলাদেশের লেগ স্পিনার অলক কাপালি হ্যাটট্রিক করেন পেশোয়ারের আরবাব নিয়াজ স্টেডিয়ামে।

এর আগে পাকিস্তানের মাটিতে সর্বশেষ হ্যাটট্রিক দেখা গিয়েছিল ২০২০ সালে। করোনা মহামারির আগে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা তিন বলে উইকেট নেন নাসিম শাহ।


হ্যাটট্রিকে রেকর্ড গড়েছেন নোমান আলী। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের পেসারদের মধ্যে অন্য চারটি হ্যাটট্রিকের দুটি ওয়াসিম আকরামের। দুটিই ১৯৯৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৬ মার্চ লাহোরের পর ১৪ মার্চ ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হ্যাটট্রিক করেন আকরাম। অন্য দুটি আবদুর রাজ্জাক (২০০০) ও মোহাম্মদ সামির (২০০২)। এ দুটি ম্যাচের প্রতিপক্ষও ছিল শ্রীলঙ্কাই।

শনিবার ৩৮ বছর বয়সী নোমানের হ্যাটট্রিকের দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো ব্যাটসম্যানই উইকেটে থিতু হতে পারেননি। হ্যাটট্রিকের কারণে ৪ উইকেটে ৩৮ থেকে ৭ উইকেটে ৩৮ রানে পরিণত হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ উইকেটে ৬৮ রান তুলেছিল।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.