বোলারদের করার ছিল সামান্যই: সিরিজ হেরে মিরাজ

আগের ম্যাচে প্রায় তিনশ রান করেও হারতে হয়েছিল ম্যাচ। তার চেয়ে আরও কম স্কোর গড়ে বলতে গেলে প্রথম ইনিংসেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত বোলাররাও পারেননি লড়াই জমাতেই। তাতে ম্যাচের পাশাপাশি সিরিজও হেরে গেছে সফরকারীরা। অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ মনে করেন, বোর্ডে যে রান ছিল, তা নিয়ে বোলারদের করার ছিল সামান্যই।

এই সিরিজের আগে ১১ ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টানা হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ক্যারিবিয়ানে ছিল টানা দুটি সিরিজ জয়। তবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাত্র ২২৭ রানে গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচ হেরেছে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম হাসান সাকিব অষ্টম উইকেটে ৯২ রান না করতে পারলে ব্যবধানটা হত আরও বিশাল।

১০ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হেরে হতাশ মিরাজ ম্যাচ শেষে বললেন, ব্যাটিংয়েই সর্বনাশ হয়েছে তাদের। (ব্যাট হাতে) মাঝের ওভারগুলোতে আমরা ভালো করিনি। কোন জুটিই হয়নি। টানা উইকেট হারিয়েছি। মাহমুদউল্লাহ ও (তানজিম) সাকিব ভালো খেলেছে, তবে আমাদের ব্যাটারদের ভুলেই ক্ষতিটা হয়েছে। সিলস সত্যিই ভালো বোলিং করেছে। আমরা প্রথম দিকে রান পাইনি। আমরা দ্রুত চার উইকেট হারিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও আমরা ম্যাচে ফিরে আসার আশা রেখেছিলাম।

        সেন্ট কিটসে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২২৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত

আগের ম্যাচের ফিফটি করা মিরাজ এদিন আউট হন মাত্র এক রানে। সঙ্গে অন্যদের ব্যর্থতায় ১১৫ রানেই চলে গিয়েছিল ৭ উইকেট। সেখান থেকে টেনেটুনে ২২৭ রান করলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার মিলে ১০৯ রান করে শেষ করে দেন ম্যাচের সব রোমাঞ্চ। মাত্র ৩৬.৫ ওভারেই সাত উইকেটে ম্যাচ জেতে দলটি।

কঠিন দিনে বোলারদের কাঁধে আস্থার হাত রেখেছেন মিরাজ। আমাদের স্কোরটা যথেষ্ট ছিল না, ৩০০ প্লাস স্কোর দরকার ছিল। প্রথম দশ ওভারে আমরা আসলেই ভালো বোলিং করেছি, বিশেষ করে আমাদের সেরা বোলার নাহিদ রানা। এই উইকেটে বোলারদের জন্য আন্ডার-পার স্কোর ডিফেন্ড করাটা কঠিন। কিছু জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.