বৈষম্যবিরোধী কমিটি বিলুপ্তির দাবিতে আন্দোলন

যমুনা সেতুর পশ্চিম মহাসড়ক অবরোধ করে সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী কমিটি বিলুপ্তির দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। দ্বিতীয় দিনের মতো সিরাজগঞ্জে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন তারা।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টা থেকে যমুনা সেতু পশ্চিম গোল চত্বরে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন। এতে যমুনা সেতু ও মহাসড়কের দুই প্রান্তে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

প্রায় ঘণ্টাখানেক যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার পর পুলিশের অনুরোধে শিক্ষার্থীরা মূল সড়ক থেকে সরে গেলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মহাসড়কের পাশেই অবস্থান করছেন।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নবগঠিত কমিটি বিলুপ্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

এর আগে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ঘণ্টাব্যাপী যমুনা সেতু পশ্চিম গোল চত্বর মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। সেই সময়েও মহাসড়কের দুই প্রান্তে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শনিবার রাত ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেলের সই করা এক চিঠিতে ২৮৪ সদস্য বিশিষ্ট সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সজীব সরকারকে আহ্বায়ক, মেহেদী হাসানকে সদস্য সচিব, ইকবাল হোসেন রিপনকে মুখ্য সংগঠক ও টিএম মুশফিক সাদকে মুখপাত্র করা হয়।

এরপর থেকেই আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীদের একাংশ।

যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনারুল ইসলাম বলেন, মহাসড়ক অবরোধ করায় যমুনা সেতুর দুই প্রান্তে বিপুল সংখ্যক যানবাহন আটকা পড়ে। আমরা আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে তারা মহাসড়কের মূল অবরোধ তুলে নিয়েছেন।

You might also like

Comments are closed.