বিশ্ব ইজতেমা এবার তিন পর্বে
বিশ্ব ইজতেমা চলতি বছর তিন পর্বে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এ ধরনের কোনো প্রজ্ঞাপন এখনো জারি হয়নি বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় গণমাধ্যমকে নাসিরুদ্দিন বলেন, এবারের বিশ্ব ইজতেমা তিন পর্বে হবে। প্রথম দুই পর্ব শুরায়ে নেজাম বা জুবায়েরপন্থীরা জমায়েত হবেন। তৃতীয় পর্বে জমায়েত হবেন সাদপন্থীরা।
মৌখিকভাবে এই তথ্য জানালেও কোনো প্রজ্ঞাপন আসেনি বলে জানান তিনি।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জুবায়েরপন্থীরা ইজতেমার প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি ও ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি জমায়েত হবেন। এরপর পরে ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সাদপন্থীরা জমায়েত হবেন।
এ ব্যাপারে শুরায়ে নেজামের ইজতেমা আয়োজক কমিটির মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শুরায়ে নেজাম টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি ও ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি দুই ভাগে ইজতেমা করবে। ইজতেমা সামনে রেখে ময়দানের প্রস্তুতিকাজ এগিয়ে চলছে।’
মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভীর অনুসারী ইজতেমা আয়োজক কমিটির মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম বলেন, ‘মুরুব্বিদের পরামর্শক্রমে ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে নিজামুদ্দিন মারকাজ অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হবে।’
ইজতেমা ময়দান ঘুরে দেখা গেছে, গাজীপুর এবং আশেপাশে জেলার তাবলীগ জামাতের মুসল্লিদের পাশাপাশি ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসল্লিরাও স্বেচ্ছা শ্রমে ময়দান প্রস্তুতের কাজ করছেন। ময়দানজুড়ে চটের শামিয়ানা স্থাপনের এগিয়ে চলছে।
অজু গোসলের জায়গা মেরামত, পানি ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার, ময়দানের আভ্যন্তরীণ রাস্তা সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে। এখন ময়দান জুড়ে খিত্তা বিভক্তি করণ, বিদ্যুৎ ও মাইক স্থাপনের করছেন মুসল্লিরা।
মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য তুরাগ নদীর উপর ভাসমান সেতু স্থাপনের কাজ করছেন সেনাবাহিনী। এছাড়া ময়দান জুড়ে নিরাপত্তা পরিষদের এবং সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করছেন র্যাব।