বিলিয়ন ডলার কোম্পানির তালিকায় স্থান পেলো ওয়ালটন
পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক উত্থানের কারণে দেশে বিলিয়ন ডলারের কোম্পানির সংখ্যা বাড়ছে। নতুন করে বিলিয়ন ডলারের কোম্পানির তালিকায় যুক্ত হয়েছে ইলেকট্রনিক অ্যান্ড হোম অ্যাপ্লায়েন্স কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ।
গত কয়েক মাসে আগেও বাজারে বিলিয়ন ডলারের কোম্পানির সংখ্যা ছিল মাত্র পাঁচটি। ধারাবাহিক ঊর্ধ্বমুখীতার কারণে বাজার মূলধন বাড়ায় এখন বিলিয়ন ডলারের কোম্পানির তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও চার কোম্পানি। এর মধ্যে তৃতীয় স্থান দখল করেছে ওয়ালটন। ফলে পুঁজিবাজারে বিলিয়ন ডলারের কোম্পানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো নয়টিতে।
বিলিয়ন ডলারে যুক্ত হওয়া কোম্পানিগুলো হলো, রবি আজিয়াটা, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) তথ্য মতে, বাজার মূলধন বিবেচনায় বিলিয়ন ডলারের কোম্পানির তালিকার সবার শীর্ষে রয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতের বহুজাতিক কোম্পানি গ্রামীণফোন। গত রোববার পর্যন্ত কোম্পানিটির লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকায়।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নতুন যুক্ত হওয়া টেলিযোগাযোগ খাতের আরেকটি বহুজাতিক কোম্পানি রবি আজিয়াটা। কোম্পানিটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা।
বিলিয়ন ডলারের তালিকায় তৃতীয় স্থান দখল করে নিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক অ্যান্ড হোম অ্যাপ্লায়েন্স কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ। কোম্পানিটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা।
চতুর্থ স্থানে রয়েছে তামাক খাতের বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি)। কোম্পানিটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা।
পঞ্চম স্থানে রয়েছে ওষুধ খাতের কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। কোম্পানিটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ১২৪ কোটি টাকা।
ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ইউপিজিডিসিএল)। কোম্পানিটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা।
সপ্তম স্থানে রয়েছে ওষুধ খাতের আরেক কোম্পানি রেনাটা। এ কোম্পানির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা।
অষ্টম স্থানে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি। কোম্পানিটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। আর নবম স্থানে রয়েছে ওষুধ খাতের আরেক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। কোম্পানিটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক উত্থানের কারণে শেয়ারের দাম বাড়ায় বিলিয়ন ডলারের কোম্পানির সংখ্যা বাড়ছে। একইভাবে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম কমে গেলে, তখন বাজার মূলধনও কমে যাবে। তবে ব্যবসায়িক ও আর্থিক অবস্থা যদি ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধিতে থাকে সেক্ষেত্রেই পুঁজিবাজারের মন্দা পরিস্থিতিতে ওই কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম স্থিতিশীল থাকে।
দীর্ঘমেয়াদে কোনো কোম্পানির পারফরম্যান্স যত ভালো, শেয়ারহোল্ডাররা তত বেশি রিটার্ন পান। ফলে বিনিয়োগকারীদের কাছে সে কোম্পানির শেয়ারের চাহিদা বেড়ে যায়। এভাবে কোম্পানির ভ্যালুয়েশন বেড়ে যায়।