বিভিন্ন নির্দেশনা মানা সাপেক্ষে ৬ থেকে ১৬ই মে পর্যন্ত ছুটি

করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে চলমান সাধারণ ছুটি আরও ১১ দিন বাড়ানো হয়েছে। জরুরি সেবা দেয়াসহ দপ্তরগুলোকে আওতার বাইরে রেখে বিভিন্ন নির্দেশনা মানা সাপেক্ষে ৬ থেকে ১৬ই মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ষষ্ঠ দফায় ছুটি বাড়িয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।

ছুটি বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কারোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ৫ই মে’র পর শর্তসাপেক্ষে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ৭ই মে থেকে ১৪ই মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো। সাধারণ ছুটির সঙ্গে ৬ মে’র বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি এবং ১৫ ও ১৬ই মে’র সাপ্তাহিক ছুটিও যুক্ত হবে। এতে বলা হয় আসন্ন ঈদে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না।

ছুটির আওতামুক্ত খাত ও অন্যান্য নির্দেশনা

# ছুটিকালীন জনসাধারণ ও সকল কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

# জরুরি পরিসেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এ ছুটির বাইরে থাকবেন।

# সড়ক ও নৌপথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্গো ভেসেল প্রভৃতি) চলাচল অব্যাহত থাকবে।

# কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্পপণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে এ ছুটি প্রযোজ্য হবে না।

# চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী, গণমাধ্যম (ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া) কর্মীরা এ ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবেন।

# ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রফতানিমুখী শিল্পসহ সকল কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবে।

# পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সময়ে শিল্প-কারখানা কৃষি এবং উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করা হবে।

# ছুটিকালীন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না।

# রমজান, ঈদ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা বিবেচনায় ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

# সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অফিস প্রয়োজন অনুসারে খোলা রাখবে। সেই সঙ্গে তারা তাদের অধিক্ষেত্রের কার্যাবলি পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে।

# ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটিতে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না।।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.