বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২০০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন: প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের যথাযথ বিকাশের জন্য আগামী ১০ বছরে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। প্রযুক্তিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। বিশাল বিনিয়োগের সুযোগ হবে। গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানে কাজেও ব্যাপক বিনিয়োগ আসবে। বিশ্বের নামিদামি কোম্পানিগুলোর আগ্রহ ব্যাপক।

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে পেট্রোবাংলা এবং যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলারেট এনার্জির মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি বিক্রয়-ক্রয়, এমএলএনজি সম্প্রসারণ এবং পায়রা টার্মশিট চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চুক্তিটিতে পেট্রোবাংলার বোর্ড সচিব রুচিরা ইসলাম এবং যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলারেট এনার্জির এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট র‍্যামন ওয়াংদি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অগ্রগতি লক্ষণীয়। বার্ষিক কর্ম সম্পাদন বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখায়। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। এখন সাশ্রয়ী মূল্যে মান সম্পন্ন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পৌঁছানই একটি চ্যালেঞ্জ।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সঙ্গে থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য সরকার নিবেদিত হয়ে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বিগত ৩ বছরে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশকে শুধু জ্বালানি খাতেই অতিরিক্ত ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়েছে। আমাদের অর্জনগুলো সুসংগঠিত করতে পারলে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। জ্বালানির বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সৌর বিদ্যুৎ হতে ১১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বক্তব্য রাখেন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.