বিদেশি ঋণের অর্থছাড় ৪৮ শতাংশ বাড়ল
চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরের প্রথম মাসেই (জুলাই) দেশে এসেছে ৪৮ কোটি চার লাখ ডলারের ঋণ সহায়তা। টাকার অঙ্কে তা চার হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৯৫.০৫ টাকা দরে), যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এক হাজার ৫১৪ কোটি টাকা বা ৪৮.৪৯ শতাংশ বেশি। দেশের অর্থনীতির এই সংকটকালে বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থ ছাড়ের পরিমাণ বাড়লেও নতুন করে ঋণ প্রতিশ্রুতি আসেনি কোনো সংস্থার কাছ থেকে। মঙ্গলবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
ইআরডির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সংকটকালীন সময়েও বৈদেশিক উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে অর্থ ছাড়ের ধারা আগের চেয়ে বেড়েছে। গত বছর জুলাই মাসে এসেছিল তিন হাজার ১২৩ কোটি টাকা বা ৩২ কোটি ৮৬ লাখ ডলার।
অন্যদিকে প্রতিশ্রুত অর্থ বাস্তবায়নের পাশাপাশি বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের দিকে চাপে আছে। জুলাইয়ে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ঋণ পরিশোধের হার কমেছে ৩.২৯ শতাংশ। প্রথম মাসে ঋণ পরিশোধ করেছে ১৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় এক হাজার ৬৮০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। অথচ আগের বছর একই সময়ে ঋণ ও সুদের বিপরীতে ১৮ কোটি ৫১ লাখ ১০ হাজার ডলার ঋণ পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ।
এ সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থ ছাড় হয়েছে জাপানের উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে। তাদের কাছ থেকে এসেছে ২০ কোটি ডলার। এর পরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থ ছাড় চীনের কাছ থেকে। এ দেশ থেকে অর্থ ছাড় হয়েছে ১০ কোটি ২২ লাখ ডলারের। এ ছাড়া আমেরিকার কাছ থেকে এসেছে দুই কোটি ২২ লাখ ডলার। এডিবির কাছ থেকে এসেছে ছয় কোটি ৩৭ লাখ ডলার। এর আগের অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ ১০ বিলিয়ন ডলারের অর্থ ছাড় করেছিল সহযোগী সংস্থাগুলো। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থায়ন করেছে এডিবি। এরপর রয়েছে জাপান ও বিশ্বব্যাংক।