বিটিভির হীরক জয়ন্তীতে ‘সোনার সিন্দুক’ নিয়ে মৌ
মডেল ও নৃত্যশিল্পী হিসেবেই পরিচিত সাদিয়া ইসলাম মৌ। খুববেশি অভিনয় করেন না। তাকে দেখা যাবে আগামীকাল বুধবার(২৫ ডিসেম্বর) বিটিভির হীরক জয়ন্তীর বিশেষ নাটকে। সেখানে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করছেন মৌ।
আলী ইমরানের রচনায় ‘সোনার সিন্দুক’ নামের বিশেষ এই নাটকটি প্রযোজনা করেছেন মাহবুবা ফেরদৌস। প্রচার হবে আগামীকাল ২৫ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৫ মিনিটে। মৌ ছাড়াও এই নাটকে অভিনয় করেছেন গোলাম কিবরিয়া, আজম খান, ফারুক আহমেদ, মাসুদ রানা মিঠু, ওবায়দুর রহমান, তাবাসসুম মিথিলা, গাউস-উল-আবেদীন, আলমগীর রহমান, দুরন্ত সাহা, অপর্ণা চৌধুরীসহ অনেকে।
এ প্রসঙ্গে সাদিয়া ইসলাম মৌ বলেন, ‘দর্শক জানেন, আমি অভিনয় করি খুব কম। যে নাটকের গল্প মনের মতো হয় শুধু সেটিতেই অভিনয় করি। তাই টিভি খুললেই আমাকে দেখা যায় না। সেদিক থেকে, ‘সোনার সিন্দুক’ নাটকের গল্পটি আমার বেশ মজা লেগেছে। দ্বৈত চরিত্রে অভিনয়ের আলাদা চ্যালেঞ্জ থাকে। তাছাড়া বিটিভি আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম, এই টিভি থেকেই আমরা কাজ শুরু করেছিলাম। তার হীরক জয়ন্তীর স্পেশ্যাল নাটকে কাজ করাটাও আলাদা ভালোলাগা দিয়েছে। আশা করছি দর্শক নাটকটি পছন্দ করবেন।’
অভিনেতা গোলাম কিবরিয়া তানভীর বলেন, ‘বিটিভির হীরক জয়ন্তীর স্পেশ্যাল নাটকে কাজ করাটা তো আনন্দের বটেই। সেইসঙ্গে আমাদের সবার প্রিয় মৌ আপুর সঙ্গে অভিনয় করার সুযোগ পেলাম। আমার খুব ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। তার মতো একজন তারকা কতোটা বিনয়ের সঙ্গে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেন সেটি নিজের চোখে দেখেছি। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’
নাটকের গল্প প্রসঙ্গে প্রযোজক মাহবুবা ফেরদৌস জানান, অলংকারপুরের জমিদার বাড়িটির সেই আগের জৌলুস আর নেই। জমিদার পরিবারের কেউ থাকে না এখানে। লাঠিয়াল হাশেম সর্দার লাঠি হাতে দিনরাত পাহারা দেয় এই বাড়ি। জমিদার রাজা চৌধুরীর উইল করা ট্রাস্টেই চলে গ্রামের স্কুল, মসজিদ ও মাদ্রাসা। ট্রাস্টের শর্তে আছে জমিদারি থেকে অর্জিত সম্পদের অর্ধেক পাবে শুধুমাত্র এই বংশের চরিত্রবান, শিক্ষিত সন্তানরা।
রাজা চৌধুরীর ছোট ছেলের একমাত্র সন্তান সোহেল চৌধুরী বিদেশ থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছেন। তিনি এই জমিদার বাড়িতেই থাকতে চান। উইলের শর্ত অনুযায়ী তিনি যদি নিজেকে সৎ ও চরিত্রবান প্রমাণ করতে পারেন, তাহলেই পাবেন ট্রাস্টের টাকা ও সোনার সিন্দুক। সদ্য পরিণীতা স্ত্রীসহ সোহেল চৌধুরী জমিদার বাড়িতে এলে ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতিসহ গ্রামবাসী তাদের সাদরে গ্রহণ করেন। রাতে সোহেল চৌধুরীর স্ত্রী উপমা সোনার সিন্দুক খোলার জন্য অস্থির হয়ে পড়েন। সিন্দুক খুলে টাকা-পয়সা ও সোনা যাই রাখেন তাই দ্বিগুণ হয়ে যায়। উপমা নিজের চেহারা দ্বিগুণ সুন্দর করতে সিন্দুক খুলে ভিতরে ঢুকে পড়েন। কিন্তু সিন্দুক খুলে হবহু উপমার মতো দুজনকে দেখতে পেয়ে চমকে যান সোহেল!