হবিগঞ্জের বাহুবলে ঘর থেকে এক নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। শনিবার (২২ফেব্রুয়ারি) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওই নারীর নাম মিনারা খাতুন (৩৫)। তার বাড়ি উপজেলার পশ্চিম জয়পুর গ্রামে। তিনি উপজেলার মিরপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক। তিনি বাহুবল উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল আহাদ ইবনে মালেকের স্ত্রী। তিনি জামায়াতে ইসলামীর নারী শাখার নেত্রী ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মিরপুর পাইলট হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মিনারা খাতুন তার স্বামী ও এক শিশুসন্তানকে নিয়ে উপজেলার জয়পুর গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন। বাড়িটি তারা প্রায় ৬ থেকে ৭ মাস আগে নির্মাণ করেন। শুক্রবার রাত আটটার দিকে নিহতের স্বামী আবদুল আহাদ বাড়িতে এসে দেখেন, তার স্ত্রীর মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহতের স্বামী আবদুল আহাদ দাবি করেন, তিনি তার দল জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক কাজ শেষ করে রাত প্রায় আটটার দিকে বাড়িতে ফেরেন। এসে দেখেন, তার ঘরের দরজা খোলা। পুরো ঘর অন্ধকার। তিনি তাদের শোবার ঘরের বাতি জ্বালিয়ে দেখতে পান, বিছানায় তার স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ। পেটে ছুরি। তাদের সাত মাস বয়সী সন্তান খাটের নিচে পড়ে আছে। তবে ঘরের অন্যান্য জিনিস ঠিকই আছে।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয় পুলিশের। প্রতিবেশীরা বলেন, তাঁরা নিহতের স্বামীর চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে যান। তবে এর আগে বা পরে কেউ এ ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানতেন না।
বাহুবল মডেল থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডটি রহস্যজনক। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায়, ছুরিকাঘাতেই ওই শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নিহতের স্বামী ছাড়া পাড়া–প্রতিবেশীদের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে নিহতের স্বামীর বক্তব্য আমলে নিয়ে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। এখনো মামলা হয়নি।