বায়তুল মোকাররমে জামাতে মুসল্লিদের ঢল

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ জুন) সকাল ৭টার এ জামাতে অংশ নিতে মুসল্লিদের ঢল নামে। কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লির অংশগ্রহণে ও যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করা হয়।

প্রথম জামাতে ইমামতি করেন এতে ইমামতি করেন ড. খলিলুর রহমান মাদানী। মুকাব্বির হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মো. আব্দুল হাদী।

নামাজের আগে ড. খলিলুর রহমান মাদানী উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশে বয়ান করেন।

তিনি বলেন, আল্লাহ মুসলিম উম্মাহর জন্য বিভিন্ন ইবাদত পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার মধ্যে ঈদুল আজহা অন্যতম। আজকের এই দিনে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দের আমল হচ্ছে পশুর রক্ত প্রবাহিত করা। তবে কেবল মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেই কোরবানি করতে হবে। এক্ষেত্রে কেউ যদি ন্যূনতম গাফিলতি করে, তবে তার কোরবানি কবুল হবে না। মানুষের বাহবা পাওয়ার উদ্দেশ্যে কোরবানি করা যাবে না।

বায়তুল মোকাররম মসজিদে আরও চারটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ইসলামি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঈদুল আজহার দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়, তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায়, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ ঈদের জামাত হবে বেলা পৌনে ১১টায়।

দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির ছিলেন মো. নাসির উল্লাহ। তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন ড. মুশতাক আহমদ। মুকাব্বির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মো. বিল্লাল হোসেন। চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মুফতী মো. আব্দুল্লাহ। মুকাব্বিরের দায়িত্ব পালন করেন মো. আমির হোসেন। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়। এই জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন। মুকাব্বির হিসেবে থাকেন মো. জহিরুল ইসলাম।

এদিকে বায়তুল মোকাররম এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। পোশাকে এবং সাদা পোশাকে নজরদারি করছেন তারা।

You might also like

Comments are closed.