আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়লেও ছিনতাই আতঙ্কে রাজধানীর প্রবেশ মুখগুলো। ঢাকার ছিনতাইকারীদের অধিকাংশই ভাসমান জনগোষ্ঠীর। বিভিন্ন হাউজিং এলাকায় জবুথবু বাসিন্দারা; পুলিশ বলছে- জিরো টলারেন্স নীতিতে চলছে অপরাধ দমন। আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে আটক। তবে পুনর্বাসন ছাড়া অপরাধ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ।
আগে থেকেই অপরাধ প্রবণ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়, নিরাপত্তা আরো নাজুক হয়ে পড়ে আগস্টের পর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরোপুরি সক্রিয় হলেও আতঙ্ক কাটছেনা জনমনে।
এক ভুক্তভোগী দাবি করেন ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে থানায় গেলেও পুলিশের পরামর্শে ফোন হারিয়ে যাওয়ার সাধারণ ডায়েরি করেছেন শেষমেশ।
সাধারণ পথচারী থেকে রিকশাচালক কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রেহাই পাচ্ছেনা ছিনতাই ও কিশোর গ্যাং দৌরাত্ম্যে।
ভুক্তভোগীদের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সদরঘাট থেকে গাবতলি বেড়িবাঁধ, রায়ের বাজার, মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন হাউজিং এলাকা, উত্তরা, সায়দাবাদসহ ঢাকার প্রবেশ মুখগুলোতে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। সন্ধ্যা নামার পর অনিরাপদ হয়ে পড়ে অলিগলিও।
ছিনতাইসহ সব রকম অপরাধ দমনে পুলিশের তৎপরতা বেড়েছে কয়েকগুণ। মামলাও রুজু হয়েছে বেশি।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি ইফতেখার হাসান বলেন, ‘অপরাধীদের যে তালিকা ছিল সেগুলো তো পুড়ে গেছে। ৫ আগস্ট থানা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, লুটপাট করা হয়েছে কিছুই নেই। আমরা পরবর্তীতে অপরাধীদের তালিকা সংগ্রহ করেছি। আমাদের ডাটাবেজ আছে। আমরা তাদের গ্রেপ্তারে সচেষ্ট আছি।’
শুধু ডিসেম্বরেই ডিএমপিতে ৫৬৪ ছিনতাইকারী আটক করা হয়। এসব মামলার সাজা নিশ্চিতে মামলা হচ্ছে দ্রুত বিচার আইনে।
ডিএমপির মুখপাত্র জানানা ৫০ থানার পাশাপাশি অপরাধ দমনে ঢাকার ৫২ পুলিশ ফাঁড়িও পুরোপুরি সক্রিয়। কোনো পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করতে না চাইলে বা ভিন্নখাতে নিতে চাইলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর কথাও জানান তিনি।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘চেকপোস্ট স্থাপন করা, টহল কার্যক্রম বাড়ানো, গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো এসব আমরা প্রতিনিয়ত করছি। এর বাইরে কোনো ঘটনা ঘটলে এর সঙ্গে জড়িতদের আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। যদি কেউ থানায় গিয়ে যথাযথ সেবা না পান তাহলে যেসব জোনাল ডিসি অফিস আছে সেখানে অবহিত করার সুযোগ রয়েছে।’