বাস্তবতা মনে করিয়ে দেয় জীবন আসলে কতটা ছোট: তামিম
খেলার মাঠে হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তামিম ইকবাল তার পাশে দাঁড়ানোয় সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানিয়েছেন।
তামিমের জন্য দেশের মানুষও ছিল উদ্বিগ্ন। তামিম জ্ঞান ফিরে পেয়ে টের পেয়েছেন মানুষের ভালোবাসার আঁচ। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) নিজের ফেসবুকে এই ক্রিকেটার পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতা। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসার সংগ্রাম পেরিয়ে সাবেক এই অধিনায়কের উপলব্ধি, ‘জীবন আসলে কতটা ছোট!’
সোমবার (২৪ মার্চ) বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলার সময় হার্ট অ্যাটাক হয় তামিমের। নানান অস্থিরতা পেরিয়ে সাভারের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে হার্টে স্টেন্ট লাগানো হয় তার। অচেতন হয়ে পড়া তামিমকে বাঁচাতে ম্যাচ রেফারি, সতীর্থ, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ট্রেনার এবং এরপর চিকিৎসকদের প্রচেষ্টা ছিল প্রবল। তারা সফলও হয়েছেন।
তামিম লিখেছেন, ‘দুই বছর আগে এই রোজার সময়েই অনুপের কাছে গিয়েছিলাম। সেদিন জানতে পারলাম, অনুপের বাবা ৪ বছরেও হার্টের অপারেশন করতে পারেননি।
হৃদয়ের স্পন্দনই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু এই স্পন্দন যে কোনো ঘোষণা না দিয়েই থেমে যেতে পারে— এই কথাটি আমরা বারবার ভুলে যাই। গতকাল দিনটি শুরু করার সময় কি আমি জানতাম, আমার সাথে কী হতে যাচ্ছে?
আল্লাহতা’আলার অশেষ রহমত আর সবার দোয়ায় আমি ফিরে এসেছি। আমার সৌভাগ্য, এই বিপদের সময়ে আমি পাশে কিছু অসাধারণ মানুষকে পেয়েছিলাম, যাদের বিচক্ষণতা ও আপ্রাণ প্রচেষ্টায় আমি এই সংকট কাটিয়ে ফিরে এসেছি।
কিছু ঘটনা আমাদের বাস্তবতা মনে করিয়ে দেয়, জানিয়ে দেয় যে জীবন আসলে কতটা ছোট! আর এই ছোট জীবনে আর কিছু করতে না পারি, সবাই যেন একে অপরের বিপদে পাশে দাঁড়ায়— এটিই আমার অনুরোধ।
আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা। সবাই আমার জন্য এবং আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। আপনাদের ভালোবাসা ছাড়া আমি তামিম ইকবাল কিছুই না।’
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তামিম আপাতত সংকটমুক্ত। তবে তাকে সতর্ক হয়ে চলতে হবে আগামী কিছুদিন।