এনসিএল টি-টোয়েন্টির ফাইনালে ব্যাটিং বিপর্যয়ে রংপুরকে ৬৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ঢাকা মেট্রো। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ এবং আলাউদ্দিন বাবুর বোলিং তোপে শুরু থেকেই উইকেট বিলিয়ে দিতে থাকে ঢাকা মেট্রোর ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত ১৬.৩ ওভারে মাত্র ৬২ রানে অলআউট হয় ঢাকা মেট্রো।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে রংপুর। আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ইমরানুজ্জামানের উইকেট হারায় ঢাকা। মুগ্ধের বলে বিদায় নেয়ার আগে ৪ রান করেন ঢাকার ওপেনার। দ্বিতীয় ওভারে অধিনায়ক নাঈম শেখও বিদায় নেন। আলাউদ্দিন বাবুর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ নাঈম।
তৃতীয় ওভারে মুগ্ধের জোড়া আঘাত। টানা দুই বলে আনিসুল ইসলাম (৩) এবং আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে (০) ফেরান তিনি। মাত্র ৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা মেট্রো। পঞ্চম ওভারে বাবু এসে নেন তাহজিবুল ইসলামের উইকেট। ষষ্ঠ ওভার মেডেন দেন রবিউল হক। তাতে পাওয়ার প্লেতে ১৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাকফুটে চলে যায় ঢাকা মেট্রো।
শামসুর রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেন সেই ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করেন কিছুক্ষণ। ১৭ রানের সেই জুটি ভাঙে শামসুরের বিদায়ে। ২৮ বলে ২ চারে ১৪ রান করে মোহাম্মদ রিজওয়ানের শিকারে পরিণত হন তিনি। পরের ওভারে বিদায় নেন সৈকতও। রবিউলের বলে আউট হওয়ার আগে ১৫ বলে ৬ রান করেন তিনি।
৩৮ রানে সপ্তম উইকেট হারানো ঢাকা পঞ্চাশ পেরোয় আবু হায়দার রনি-শহিদুল ইসলামের জুটিতে। ৯ বলে ২ চারে ১৩ রান করা রনি রান আউটে কাটা পড়েন। ঢাকার রান তখন ৫২। এরপর আর ১০ রান যোগ করতেই অলআউট হয় ঢাকা। শহিদুল ১৬ বলে ৬ এবং রাকিবুল ৯ বলে ৩ রান করেন।
৩.৩ ওভারে ১২ রানে ৩ শিকার বাবুর। ৪ ওভারে মুগ্ধর বোলিং ফিগারও ১২/৩। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন চৌধুরী রিজওয়ান, রবিউল হক ও আরিফ আহমেদ। শামসুর শুভ ১৪ ও আবু হায়দার রনি ১৩ রান করেছেন মেট্রোর হয়ে।