বাদাম বেঁচে আর টিউশন করে সংসার চালানো মেয়ে যাবে নাসায়
ছোট জয়ালক্ষ্মীর ঘাড়ে সংসারের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে আলাদা হয়েছে বাবা। বলতে গেলে, বাবা থেকেও নেই। গৃহত্যাগী বাবা কখনও কখনও ইচ্ছে হলে টাকা পাঠান। বাকিটা তাকেই উপার্জন করতে হয়। তাছাড়া মা তার মানসিক রোগী। মা আর ভাইয়ের দেখাশোনাসহ সংসারের বাকি সবকিছুই সামলাতে হয় তাকে। তার উপর যত্ন করে এগিয়ে নিয়ে চালাচ্ছে নিজের পড়াশোনাটাও।
কিন্তু যাবতীয় অভাব-অনটন, বাধা-বিপত্তি পেড়িয়ে নিজের স্বপ্নে এবং লক্ষ্যে স্থির মেয়েটি।
পড়াশোনার ফাঁকে তাকে বাদাম বিক্রি করতে হয়। পাশাপাশি সে টিউশনও করে।
মেয়েটির পুরো নাম জে জয়লক্ষ্মী। ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের একটি সরকারি স্কুলের ছাত্রী সে, একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। বিজ্ঞানের উপর বরাবর আগ্রহী এবং মেধাবী এই শিক্ষার্থী নিজের চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের নাসায় গিয়ে মহাকাশচারীদের সঙ্গে দেখা করার বিরল সুযোগ লাভ করেছেন।
একদিন হঠাৎ পত্রিকার পাতায় চোখ আটকায় তার- ‘গো4গুরু’ নামের একটি সংস্থা ‘নাসা’ যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সুযোগ করে দিতে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।
ব্যস, সেই থেকে গল্পের শুরু। বাড়ি গিয়ে প্রতিযোগিতার জন্য আবেদনপত্র পূরণ করে জয়লক্ষ্মী। নিজের মতো করে বাড়িতে প্রস্তুতি নিয়ে সফলও হয়ে যায়! নাসায় ঢোকার টিকিটও পেয়ে গেছে সে! খবরটি ভারত ছাপিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে যেতেওতো লাগবে অনেক টাকা। কি আর করা! তার শুভাকাঙ্ক্ষী কয়েকজন শিক্ষক আর সহপাঠীদের সাহায্যে পাসপোর্ট বানাতে পেরেছে সে। এমনকি পাসপোর্ট অফিসাররা পর্যন্ত তাকে সাধ্যমতো অর্থ সাহায্য করেছেন। আর বাকি টাকার জন্য নিজ জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে জয়লক্ষ্মী। যে করেই হোক নাসায় যে তাকে যেতেই হবে।