বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করছেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র এবং প্রতিদিনকার গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার সুবিধা বাতিল করতে যাচ্ছেন।
চার বছর আগে বাইডেনও ট্রাম্পের সঙ্গে একই কাজ করেছিলেন, জানিয়েছে বিবিসি।

ডনাল্ড ট্রাম্প বলেন, জো বাইডেনের গোপনীয় তথ্য পাওয়ার সুবিধা অব্যাহত রাখার কোনো দরকার নেই। জো, ইউ আর ফায়ারড, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এমনটাই লিখেছেন তিনি।

তিনি যখন রিয়েলিটি টিভি শো দ্য অ্যাপ্রেন্টিসের হোস্ট ছিলেন, সেসময় তার মুখে ‘ইউ আর ফায়ারড’ বাক্যটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

ট্রাম্প এরই মধ্যে অর্ধশত সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছেন, এই কর্মকর্তারা ২০২০ সালের নির্বাচনে বাইডেনের হয়ে কাজ করেছিলেন বলেও অভিযোগ তার।

শুক্রবার ( ৭ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “এই নজির ২০২১ সালেই সৃষ্টি হয়েছিল যখন সে (বাইডেন) গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিল ৪৫তম প্রেসিডেন্টকে (আমি) জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্যে প্রবেশাধিকার না দিতে, সাবেক প্রেসিডেন্টরা সাধারণত এ সম্মানটুকু পায়।”

সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টের গোপনীয় নথি রাখার বিষয়ে বিচার মন্ত্রণালয়ের তদন্তকে উদ্ধৃত করে ট্রাম্প লেখেন, “সংবেদনশীল তথ্য নিয়ে বাইডেনকে বিশ্বাস করা যায় না।”

বিচার মন্ত্রণালয়ের ওই তদন্তে বলা হয়েছে, বাইডেনের স্মৃতিশক্তি খুবই দুর্বল তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার দরকার নেই। এর সপক্ষে যুক্তি দিয়ে তদন্তে বলা হয়, ছেলের মৃত্যু বা কখন তিনি ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছিলেন- জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এসব ঘটনাই মনে রাখতে পারেন না বাইডেন।

বাইডেন সেসময় তার এমন চরিত্রায়নকে খারিজ করে দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের পদক্ষেপ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বাইডেন বা তার বাইডেন ট্যালেন্ট এজেন্সির কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বাইডেন ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে দাঙ্গার আগেই ট্রাম্পের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করে দিয়েছিলেন, রিপাবলিকানের ‘দাম্ভিক ব্যবহারকে’ কারণ দেখিয়ে।

২০২২ সালে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাসভবন থেকে গোপনীয় নথি উদ্ধার করে তার বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে গোপনীয় তথ্য নিজের কাছে রেখে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল।

ট্রাম্প অভিযোগটি অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন; তিনি পুননির্বাচিত হওয়ার ওই মামলার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.