বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ চায় আসাম

ভারতের আসাম রাজ‌্য বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট ব‌্যান্ডউইথ নেওয়ার আগ্রহ ব‌্যক্ত করেছে। আসাম রাজ‌্য সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আসাম ইলেক্ট্রনিকস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড এই আগ্রহ ব‌্যক্ত করে।

বুধবার (২৫ মে) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের কাছে কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে ইন্দো-বাংলা কাউন্সিলের সেক্রেটারি সুনীত কেপি প্রতিষ্ঠানের একটি আগ্রহ-পত্র পেশ করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সুনীত কেপিকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমাদের ব‌্যান্ডউইথ রপ্তানির বিষয়ে কোনো সমস‌্যা নেই। আসামে ব‌্যান্ডউইথ রপ্তানির প্রক্রিয়া গ্রহণের জন‌্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছেন।

সিলেটের তামাবিল থেকে মেঘালয়ের ডাউকি হয়ে গৌহাটিতে আসাম নিজস্ব ব‌্যয়ে ক‌্যাবল সংযোগ স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ তামাবিল পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে বিকল্প লাইন স্থাপন করবে বলে মন্ত্রী প্রতিনিধিকে আশ্বস্ত করেন।

এর আগে একজন মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ভারত সফর করেন। সে সময় আসাম বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে বলে মোস্তাফা জব্বারকে অবহিত করেন সুনীত কেপি।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ইন্টারনেটকে ডিজিটাল বাংলাদেশের মহাসড়ক হিসেবে আখ‌্যায়িত করেন। এছাড়া দেশের মানুষের ডিজিটাল জীবনধারা নিশ্চিত করতে প্রতিটি অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সুবিধা পৌঁছে দিতে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন উদ‌্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব‌্যান্ড নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি দেশের শতকরা ৯৮ভাগ এলাকায় ৪জি নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এরই মাঝে ৫জি স্পেকট্রাম নিলাম করা হয়েছে এবং ৫জি চালু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ব্যান্ডউইদথ ব‌্যবহৃত হতো এবং ব‌্যবহারকারীর সংখ‌্যা ছিল মাত্র ৮ লাখ। ২০২০ সালে কোভিড শুরুর প্রাক্কালে দেশে ১০০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব‌্যবহৃত হতো। বর্তমানে তা বেড়ে ৩৪৪০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে এবং ব‌্যবহারকারীর সংখ‌্যা প্রায় ১৩ কোটিতে উন্নীত হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

দেশে নেটওয়ার্কের বর্ধিত চাহিদা মিটিয়ে সৌদি আরব, ভারত ও ভূটানে ব্রডব‌্যান্ড রপ্তানি করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ তৃতীয় সাবমেরিন ক‌্যাবল সংযোগের কাজ শুরু করেছে। তৃতীয় সাবমেরিন সংযোগ সম্পন্ন হলে অতিরিক্ত আরও প্রায় তের হাজার দুই শত জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সংযুক্ত হবে। সিমিউই৪ এবং সিমিউই৫ এর সক্ষমতা বাড়াচ্ছেন ও সাকুল্য ব্যান্ডউইথ দিয়ে ২০৩০ সাল পযর্ন্ত চাহিদা মেটানো যাবে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.