বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী মিয়ানমার
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে মিয়ানমার আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে। একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফাইট চালুর বিষয়েও আগ্রহের কথা জানান তিনি।
শনিবার রাজধানীর গুলশানে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এক সৌজন্য সাাত করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। এ সময় বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানো ও ফাইট চালুর এ আগ্রহের কথা জানান তিনি।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে এসেছে। ১৯৭১ সালে যে পাঁচ দেশ বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়, সেই দেশগুলোর একটি হলো মিয়ানমার।
এ সময় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, প্রতিবেশী হওয়া সত্বেও বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপাকি বাণিজ্যের পরিমাণ খুবই কম। একসময় চট্টগ্রাম ও নৌ-পইেয়াঙ্গুনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পন্ন হতো। কিন্তু কিছু কারণে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য কমে গেছে। সম্ভাবনাময় অনেক খাত থাকলেও সেই সুযোগ কাজে লাগানো যাচ্ছে না। রোহিঙ্গা সমস্যাসহ দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান করলে বাণিজ্যিকভাবে উভয় দেশই লাভবান হবে। তাই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারকে কার্যকরী পদপে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, তৈরি পোশাক, ওষুধ শিল্প, সিরামিক, পাট, চামড়াজাত পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যে বিশ্বব্যাপী দারুণ সুনাম কুঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। মিয়ানমার বাংলাদেশকে এসব পণ্য আমদানি করতে পারে। পাশাপাশি চাল, পেঁয়াজ, মসলাসহ বিভিন্ন পণ্য মিয়ানমারকে আমদানি করতে পারে বাংলাদেশ। এ ছাড়াও বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এবং জ্বালানি খাতে মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।