বন্ধুর ঘরে বন্ধুর অবৈধ প্রেমের জেরে একটি আমগাছ থেকে এক রশিতে দুই লাশ!
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের পশ্চিম পেয়ারাপুর মাঝিপাড়ার একটি আমগাছ থেকে উদ্ধারকৃত যুবকদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গাইবান্ধা পুলিশ বুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রবিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে গাইবান্ধা পিবিআই এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায়।
পিবিআই পুলিশ সপুার (এসপি) এ আর এম আলিফ বলেন, বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সকালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের পশ্চিম পেয়াপুর মাঝিপাড়ার একটি আমগাছ থেকে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃনাল চন্দ্র দাস (২৪) ও সুমন চন্দ্র দাস (২৩) নামের দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হলে (১৩ আগস্ট) মামলার তদন্তের দায়িত্বভার নেয় পিবিআই। পিবিআই তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে মামলার আসামি প্রদীপ চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডের কথা তিনি স্বীকার করেন। এ ঘটনায় সহযোগিতায় ছিলেন নিতাই চন্দ্র দাস। আমরা নিতাই চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
তিনি আরো বলেন, নিহত সুমন কান্তি দাসের মায়ের সঙ্গে বন্ধু পলাতক আসামি নিতাই চন্দ্রের অবৈধ সর্ম্পক জেনে ফেলায় ও প্রতিবাদ করায় পরিকল্পিতভাবে ডেকে এনে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এর পর তাদের লাশ ঝুলিয়ে রাখে বন্ধু নিতাই, প্রদীপসহ চার থেকে পাঁচ জন। ঘটনা আড়াল করতে লাশের পাশে তোয়ালে, ছবি ও ব্যাগ রেখে যায় তারা।