বনভোজনে গিয়ে সৈকতের আবর্জনা পরিষ্কার করলেন শিক্ষার্থীরা
বনভোজনে এসে সৈকতের আবর্জনা পরিষ্কার করলেন ছাত্রীরা
আগে থেকেই পরিচ্ছন্নতার জন্য খ্যাতি রয়েছে গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের ঐতিহ্যবাহী আবেদ আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে এই বিদ্যালয়ের ১৯০ ছাত্রী কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণে আসেন। সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাদের মন কাড়লেও চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা খাবারের অবশিষ্টাংশ এবং ময়লা আবর্জনা তাদের ব্যথিত করে তোলে। পরে দুপুরে ছাত্রীরা তাদের সঙ্গে আসা শিক্ষকদের কাছে আবেদন করেন এই জানিয়ে যে, তারা সৈকত পরিষ্কার করবেন।
শিক্ষকরাও ছাত্রীদের এই কাজে উৎসাহ দেন। সন্ধ্যার আগে জিরো পয়েন্ট থেকে সানসেট পয়েন্ট পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সৈকতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ময়লা অবর্জনা শিক্ষকদের সহযোগিতায় পরিষ্কার অভিযান শুরু করেন ছাত্রীরা।
আবেদ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসমিনুর জানান, ‘আমরা সকালে (গতকাল) এসেছি। কুয়াকাটার সৌন্দর্য আমাদের ভালোই লেগেছে। বান্ধবীরা মিলে অনেক মজা করেছি। তবে সৈকত ময়লা আবর্জনা ফেলা ছিলো। দুর্গন্ধ ভেসে আসছিলো। যেটা আমাদের কষ্ট দিয়েছে। তাই আমরা বান্ধবীরা মিলে স্যারদের সৈকত পরিষ্কারের কথা বলি। স্যাররাও রাজি হয়ে যান। পরে আমরা সৈকতের আবর্জনা পরিষ্কার করেছি। সৈকতকে আবর্জনা মুক্ত করতে পেরে ভালোই লেগেছে। আমাদের সঙ্গে অন্য পর্যটকরাও কাজ করেছেন।’
একই শ্রেণির শিক্ষার্থী নিসাত আনজুম নুরীন বলেন, ‘মূলত সৈকতে ময়লা আবর্জনা না ফেলতে উৎসাহী করার জন্যই এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি আমরা। আশা করছি অন্য পর্যটকরা সৈকতে আর প্লাষ্টিক, পলিথিন এবং ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না।‘
আবেদ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান বলেন, ‘১৯০ জন ছাত্রী নিয়ে আমরা কুয়াকাটায় এসেছি। অবাক করার বিষয় হলো শিক্ষার্থীরা সৈকত পরিচ্ছন্ন করতে নিজেরা উদ্যোগী হবে সেটা ভাবতে পারিনি। অবশ্য পরিচ্ছন্নতায় আমাদের স্কুলের আগে থেকেই ক্ষ্যাতি রয়েছে। শিক্ষার্থীরা পরিচ্ছন্নতা করার বিষয়টি আমাকে অবহিত করলে আমরা তাদের উৎসাহ দেই। ওরা প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকা পরিচ্ছন্ন করে কুয়াকাটায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেলো।’