বঞ্চনার শৃঙ্খল ভাঙার দিনে সূর্য সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ
পাকিস্তানি শোষণ-বঞ্চনার শৃঙ্খল ভেঙে লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে তরুণ প্রজন্ম স্বপ্ন দেখছে ‘বৈষম্যহীন’ নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের; বর্ণিল সাজে সেজে স্বাধীনতার আনন্দক্ষণ উদযাপন করছে বাংলাদেশ। বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে জাতির সূর্য সন্তানদের।
ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদী।
তেইশ বছরের শোষণ থেকে বাঙালির মুক্তির আন্দোলনের শ্বাসরোধ করতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামের সেই অভিযানে কালরাতের প্রথম প্রহরে ঢাকায় চালানো হয় গণহত্যা।
২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান। তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী ইপিআরের বেতারে তার এই ঘোষণা প্রচারিত হয়।
এরপর নয় মাসের যুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মদান, আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি এবং জাতির অসামান্য ত্যাগের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।
একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের স্মরণে জাতীয়ভাবে মঙ্গলবার ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করেছে বাংলাদেশ। কালরাত স্মরণে এক মিনিট বাতি নিভিয়ে রাখার মত আয়োজনও ছিল।
স্বাধীনতা দিবসে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাধারণ ছুটির দিনে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে গৌরবের দিনটি।
এবার এমন এক সময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪তম বার্ষিকী উদযাপন হচ্ছে, যখন মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হয়ে মাঠের রাজনীতিতে নেই।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের শাসনাবসানের পর দেশ চালাচ্ছে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে গিয়ে এখনও সেখানে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা; মাঠে নেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
জুলাই আন্দোলনকারীদের ওপর ‘গণহত্যা’ চালানোর অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাকর্মীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মধ্যে শেখ হাসিনার ‘স্বৈরশাসন’ পেরিয়ে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে ইউনূস সরকার।