‘বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে বাংলাদেশ ভারত সুসম্পর্ক’
মার্টিন লুথার কিং, নেলসন ম্যান্ডেলাসহ অনেকেই গান্ধীজির আদর্শকে অনুসরণ করেন, তিনি এখানে এসেছিলেন। মহাত্মা গান্ধী এমন এক ব্যক্তিত্ব যিনি দুই দেশকেই বেঁধে রেখেছেন।
আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক।
বুধবার দুপুরে ঢাকার দোহার উপজেলার মালিকান্দা গ্রামে মহাত্মা গান্ধী অভয়াশ্রম মহাশ্মশানে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস ভারত ও বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক বিষয়ে একথা বলেন।
হাইকমিশনার আরও বলেন, মহাত্মা গান্ধীর আদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য বাংলাদেশে যতগুলো গান্ধী আশ্রম আছে, সেগুলোতে সেমিনার করে গান্ধী সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি।
অনুষ্ঠানে দোহারের কৃতী সন্তান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে ভারত বাংলাদেশের সুসম্পর্ক তৈরি হয়। সেপথ ধরে আমরা এগিয়ে চলেছি। আজকে ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাসের সঙ্গে অফিসিয়াল সাক্ষাৎকার ছিল। সেই মিলনমেলাটা আজ দোহারেই শেষ হল। ঢাকা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজি ড. বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি হাবিবুর রহমান, ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, দোহার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম, নবাবগঞ্জের ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম শেখ, দোহার থানার ওসি মোস্তফা কামাল, দোহার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রজ্জব আলী মোল্লা, আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হক প্রমুখ।
ভারতীয় হাইকমিশনার গান্ধী অভয়াশ্রম পরিদর্শন শেষে অতিথিদের নিয়ে বৃক্ষরোপণ করেন। ভবিষ্যতে এসব অভয়াশ্রম সংরক্ষণে রাখার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।