বগুড়ায় কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত ৭ লক্ষাধিক পশু

কোরবানি ঈদকে ঘিরে প্রতি বছরের মতো এবারও বগুড়ার খামারিরা দেশি-বিদেশি জাতের গরু লালন-পালন করেছেন। প্রাকৃতিক খাদ্য দিয়েই ভারতীয় শাহীওয়াল, নেপালের গীর, ভুট্টি, সিন্ধিসহ দেশীয় জাতের গরু ছাগল পালন করে এখন ভালো দামের প্রত্যাশা করছেন তারা। ঈদ সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করে থাকেন প্রান্তিক খামারিরাও। এদিকে গ্রামের ছোট-বড় খামারের পাশাপাশি শহরের অনেক বাড়িতেও গরু পালন করা হচ্ছে।

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ব্যস্ত বগুড়ার পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি খামারি। হাট-বাজারে পশু বিক্রি করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। বিগত বছরগুলোতে ভালো দাম পাওয়ায় পশু পালনে আগ্রহ বেড়েছে খামারিদের। খামারি যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে কোরবানির পশু। গ্রামের পাশাপাশি শহরেও গরু লালন পালন হচ্ছে।

এবার গো-খাদ্যের মূল্য বাড়াতে পশুপালনে খরচ বেড়েছে, ভালো দামের প্রত্যাশা খামারিদের। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করায় খামারিসহ গবাদি পশুর উৎপাদন বেড়েছে, কোরবানি ঈদে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি পশু বিক্রির হবে বলে প্রত্যাশা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানিয়েছে, কোরবানির জন্য জেলায় ৫১ হাজার ১৪৬ জন খামারি এ বছর ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪২টি পশু প্রস্তুত করেছেন। গত বছর যা ছিল ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫১টি। প্রস্তুতকৃত পশুর সঙ্গে এবার বেড়েছে কোরবানির পশুর চাহিদা। এ বছর বগুড়ায় কোরবানির পশুর চাহিদা ৭ লাখ ৯ হাজার ১০টি। গত বছর ছিল ৭ লাখ ৫ হাজার ২৬০টি। গরু রয়েছে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৭৭১টি, মহিষ ২ হাজার ৩০৪টি, ছাগল ৩ লাখ ৮০ হাজার ৬৩২টি, ভেড়া ৪৭ হাজার ১৪০টি। চলতি বছরে জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদার বিপরীতে প্রস্তুতকৃত পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে ৩৮ হাজার ৪৩২টি।

সদরের এরুলিয়া এলাকার খামারি শিমুল জানান, তার খামারে এখন ১৫টি গরু আছে। এরমধ্যে শাহীওয়াল ক্রস জাতের ১১শ কেজি ওজনের গরুর দাম চাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা, তবে ১২ লাখ টাকা হলেই বিক্রি করবেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আনিছুর রহমান জানান, খামারিদের দোরগোড়ায় বিভিন্নভাবে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তদারকি চলছে প্রান্তিক পর্যায়ে। জেলায় চাহিদার চেয়ে বেশি পশু রয়েছে। সবমিলিয়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিক্রি হবে বলে আশা করছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।

– বগুড়া প্রতিনিধি

You might also like

Comments are closed.