বগুড়ায় আওয়ামী লীগ, জাপা ও জাসদ কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর
বগুড়া শহরের সাতমাথায় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) জেলা কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার (৬ে ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে শহরের প্রধান সড়কে জেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ও ভাঙচুর করা হয়।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা প্রথমে সাতমাথা টেম্পল সড়কে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। প্রথমে তালা ভেঙে কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে দোতলার ছাদে হাতুড়ি দিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। আসবাব বাইরে বের করে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এ সময় শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালও ভাঙচুর করা হয়। পরে শহরের সাতমাথায় জেলা জাসদের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে এবং আসবাব বাইরে বের করে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। রাত পৌনে নয়টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র–জনতা স্লোগান দিয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম সড়কে জেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভাঙচুর করেন। এ সময় কার্যালয়টির সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়।
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিতে বুলডোজার ব্যবহার করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বগুড়া শহরের সাতমাথায় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিতে বুলডোজার ব্যবহার করা হচ্ছে।
এর আগে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে জেলা জজ আদালতের সামনে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দেয়ালে থাকা ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফলক ভাঙচুর করেন। রাত সোয়া ৯টার দিকে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ কে এম মঈন উদ্দিন বলেন, সাতমাথায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।
রাত পৌনে ১০টার দিকে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিতে বুলডোজার নিয়ে আসেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। তবে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়ার আগেই টাউন ক্লাব, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খানের ব্যক্তিগত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খান এন্টারপ্রাইজের কার্যালয় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা…, ঢাকা…’ বলে স্লোগান দেন ছাত্র-জনতা।

Comments are closed.