বই পড়ে পুরস্কার জিতলো ৩,৩৪১ শিক্ষার্থী!

মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে খুলনা মহানগরীর স্কুল পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের বইপড়া কর্মসূচির পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) প্রাঙ্গণে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

২০১৯ শিক্ষাবর্ষে নগরীর ৪৩টি স্টু্কলের ছয় হাজার ১৯২ ছাত্রছাত্রী বইপড়া কর্মসূচিতে অংশ নেয়। মূল্যায়ন পর্বে কৃতিত্বের পরিচয় দেওয়া তিন হাজার ৩৪১ ছাত্রছাত্রীকে পুরস্কার দেওয়া হয়। এর মধ্যে স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে এক হাজার ৮০৪ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার ৯৭৮, অভিনন্দন পুরস্কার ৪৬২ এবং সেরা পাঠক পুরস্কার পেয়েছে ৯৭ জন।

সেরা পাঠক পুরস্কার বিজয়ী ৯৭ জনের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ১০ জনকে দেওয়া হয় দুই হাজার টাকা সমমূল্যের বই। এ ছাড়াও লটারির মাধ্যমে চারজন অভিভাবককেও একই ধরণের বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রত্যেক স্কুুলের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বইপড়া কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ। অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. হাবিবুল হক খান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আবদুন নূর তুষার, খুলনা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মেহেরুন নেছা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খো. রুহুল আমীন, গ্রামীণফোনের জেনারেল ম্যানেজার ফারজানা রহমান, পিটিআইর তত্ত্বাবধায়ক স্বপন কুমার বিশ্বাস ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাবেক সংগঠক হুমায়ুন কবির ববি।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অতিথিরা বলেন, আলোকিত মানুষ তৈরিতে বইয়ের বিকল্প নেই। বই পড়ে নিজেকে জানতে হবে, বিশ্বকে জানতে হবে। তোমরা খুবই সৌভাগ্যবান। কারণ এখন অভিভাবক ও শিক্ষকরা বইপড়ার জন্য প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিচ্ছেন। কিন্তু আমাদের সময় বই পাওয়াটা এত সহজ ছিল না। এ ক্ষেত্রে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বিভিন্ন স্কুলে বই পৌঁছে দিচ্ছে। এটি ভালো উদ্যোগ। বই পড়ে নিজেকে ও দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.