বই ছাপাতে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হতো অবৈধ সুবিধা!

প্রাথমিকে পাঠ্যবই ছাপানোর কাজের সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েও কাজ পায়নি দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান। ২০১৭ সালে ৫০ কোটি টাকার ওই কাজের প্রায় পুরোটাই পায় ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে তখন কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও দুদকে অভিযোগ জানায় কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানটি।

অভিযোগ আছে, প্রাথমিকে পাঠ্যবই ছাপানোর কাজে আওয়ামী লীগ আমলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবৈধভাবে সুবিধা দেওয়া হতো। এসব অভিযোগে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) অভিযান চালিয়েছে দুদক।

২০১৭ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকের প্রায় ২ কোটি পাঠ্যবই ছাপার কাজ পায় ভারতীয় কোম্পানি কৃষ্ণ ট্রেডার্স। কিন্তু ৫০ কোটি টাকার আন্তর্জাতিক ওই দরপত্রে অংশ নিয়ে ১৭টি কাজে সর্বনিম্ন দরদাতা হয় দক্ষিণ কোরিয়ান কোম্পানি টিপিএস।

তবে কাজ পায়নি তারা। অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চ মহলের ইশারায় অন্যায়ভাবে দক্ষিণ কোরিয়ান ওই কোম্পানিকে বঞ্চিত করে কাজ দেওয়া হয় ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটিকে ।

সে বছরই বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করে। এ নিয়ে তদন্ত ও অনুসন্ধানও চালায় দুদক।

তবে এরপরই রহস্যজনকভাবে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। সম্প্রতি বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরই গত ১৯ জানুয়ারি এ নিয়ে ক্ষতিপূরণ এবং প্রতিকার দাবি করে কোরিয়ান কোম্পানিটি।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় কোম্পানিকে অবৈধভাবে পাঠ্যবই ছাপানোর অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে সকালে মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবিতে অভিযান চালায় দুদকের একটি দল। এনসিটিবির কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক এবং নথিপত্র যাচাই-বাছাই করেন কর্মকর্তারা। এই কাজে মোট কত টাকা বরাদ্দ ও ব্যয়ের খাতসহ বিভিন্ন তথ্য এনসিটিবির কাছে জানতে চেয়েছে দুদক কর্মকর্তারা।

দুদক বলছে, ভারতে বই ছাপানোর কাজ দিয়ে রাষ্ট্রের কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.