ফ্ল্যাটে মিলল বৃদ্ধের রক্তাক্ত মরদেহ, টাকা-স্বর্ণালঙ্কার লুট

নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি ফ্ল্যাট থেকে উৎপল রায় নামে এক বৃদ্ধের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ সোমবার(১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এঘটনায় মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি)দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

৬৫ বছর বয়সী উৎপল ওই এলাকার একটি সাততলা ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে বড় ছেলে উজ্জ্বল রায়ের সঙ্গে থাকতেন৷ উজ্জ্বল ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ নামে একটি এনজিও’র প্রকল্প পরিচালক।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) জামাল উদ্দীন জানান, উৎপল রায়ের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি ওই ফ্ল্যাটে বড় ছেলের সঙ্গে থাকতেন৷ তার আরেক ছেলে বিদেশে থাকেন৷ সোমবার রাতে উজ্জ্বল বাসায় ফিরে দরজা বন্ধ দেখেন৷ বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরও কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বাবার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান৷

পরিদর্শক জামাল উদ্দীন বলছেন, উৎপল রায়ের গলায় ধারালো কিছু দিয়ে জখম করে তাকে হত্যা করা হয়েছে৷ ওই বাসা থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের ঘটনাও ঘটেছে৷ এ ঘটনার পর থেকে বাড়ির দারোয়ানের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না৷ ধারণা করা হচ্ছে, দারোয়ান এ লুট ও হত্যায় জড়িত থাকতে পারে৷ সবদিক বিবেচনায় পুলিশ তদন্ত করছে।

নিহতের ছেলে উজ্জ্বল রায় বলেন, তিনি প্রতি সকালে তার ঢাকার কর্মস্থলে চলে যান৷ এরপর সারাদিন বাবা বাড়িতে একাই থাকতেন। এক গৃহকর্মীর কাজ করেন আর একজন দারোয়ান টুকটাক কাজ করে দেন৷

উজ্জ্বল বলেন, বাবা সাধারণত পরিচিত কোনো লোক ছাড়া দরজা খুলতেন না৷ যিনি বা যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা বাবার পরিচিত হওবার সম্ভবনাই বেশি। আর দারোয়ানকে নিয়ে দরজা ভাঙলেও এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। ঘরের প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণ ও দেড় লাখ টাকাও নেই।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.