ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫ হাজার কোটি টাকা

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির মধ্যেও রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত রেখেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তারা প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা (১৭৮ কোটি মার্কিন ডলার) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা তার আগের বছরের (২০২০ সাল) একই সময়ের চেয়ে ১৮ শতাংশ বা ৩২ কোটি ৮৪ লাখ ডলার বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে ১৭৮ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা যা টাকার অঙ্কে প্রায় ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৫ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১৮ শতাংশ বা ৩২ কোটি ৮৪ লাখ ডলার বেশি। চলতি বছরের প্রথম মাসে (জানুয়ারি) ১৯৬ কোটি ২৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।

ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৯ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৩৪ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। পিছিয়ে নেই বিদেশি ও বিশেষায়িত ব্যাংকও। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৬ লাখ মার্কিন ডলার এবং এক বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে তিন কোটি ডলার।

অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) দেশে প্রবাসীরা এক হাজার ৬৬৮ কোটি ৭২ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। রেমিট্যান্সের প্রবাহ থাকায় ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সবশেষ (২৪ ফেব্রুয়ারি) তথ্যমতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ এখন ৪৪.০২ বিলিয়ন বা চার হাজার ৪০২ কোটি ডলার।

দি ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবাসী আয়ে শীর্ষে থাকা ১০টি উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে করোনা মহামারিতে সাতটিরই রেমিট্যান্স কমেছে। তবে এর মধ্যেও রেমিট্যান্স বেড়েছে তিনটি দেশের। সেই তিনটি দেশের একটি হলো বাংলাদেশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরে বাংলাদেশের প্রবাসী আয় বেড়েছে আট শতাংশ। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে এক হাজার ৮৪০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। ২০২০ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ৯৮৮ কোটি ডলারে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.