ফারুকের অনড় অবস্থান, সংকটে বিসিবি!

সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফারুক আহমেদ। তাতেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নেতৃত্বের টানাপোড়েন নতুন মোড় নিয়েছে। ফারুক নিজেই জানিয়েছেন-গতকাল রাতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা তাকে জানান, সরকার আর বিসিবি সভাপতি পদে রাখতে চাইছে না তাকে। এরপর ফারুক বিষয়টি ভাবার জন্য সময় চেয়েছিলেন। এ অবস্থায় আজ সাফ জানালেন তিনি পদত্যাগ করবেন না।

যেখানে সরকার তাকে সরে যেতে বলেছে, সেখানে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কেন সরতে হবে, সেটা তো বলা হয়নি!’ বিসিবির বর্তমান সভাপতি হয়েছেন মাত্র ৯ মাস হলো। তাকে এনেছিল সরকার নিজেই, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে। এখন হঠাৎ করেই তাকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় বোর্ডের গঠনগত স্থিতিশীলতা নিয়ে উঠেছে  প্রশ্ন।

 

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী- বিসিবির সভাপতি হতে হলে কাউন্সিলর ও পরিচালক হওয়া বাধ্যতামূলক। একজন বিদ্যমান কাউন্সিলর পদত্যাগ করলে সেখানে অন্য কাউকে বসিয়ে পরিচালক বানানো যায়। এভাবেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। তবে তার জন্য কাউন্সিলর বদলের প্রয়োজন রয়েছে, যা সময়সাপেক্ষ এবং বিতর্কিত।

বিসিবির ভবিষ্যৎ সভাপতি হিসেবে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নাম বিবেচনায় আছে। যদিও তিনি এখনো কাউন্সিলর নন, তবে আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে আনতে চাইছে সরকার। বোর্ডের বর্তমান দুই এনএসসি পরিচালক ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম-এর মধ্যে একজনকে সরাতেই হবে, বুলবুলকে আনতে হলে।

কিন্তু এ অবস্থায় ফারুক সরতে রাজি নন। আইনি জটিলতা, রাজনৈতিক চাপ ও গঠনতান্ত্রিক প্রশ্নে একটি অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ক্রিকেট বোর্ডে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপে আপত্তি জানিয়ে এসেছে বরাবরই। অতীতে এমন ঘটনার জন্য  নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট।

ফারুক নিজে চলে না গেলে, সরকার যদি তাকে জোরপূর্বক সরাতে চায়- তাহলে আন্তর্জাতিকভাবে বিষয়টি নজরে পড়বে।

You might also like

Comments are closed.