ফাইনালে হেরে কাঁদলেন রোনালদো

কিংস কাপের উত্তাপ ছড়ানো ফাইনাল ম্যাচে শুক্রবার রাতে আল নাসরকে হারিয়েছে আল হিলাল। নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়েও ১-১ গোলে সমতায় ছিল ম্যাচ। টাইব্রেকারে ৫–৪ গোলে জিতে যায় আল হিলাল। তবে ম্যাচের জয়-পরাজয় ছাপিয়ে গেছে রোনালদোর কান্নায়। ম্যাচ শেষে দলের হারের পর মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় পর্তুগিজ মহাতারকাকে।

ব্যক্তিগতভাবে তিনি দারুণ এক মৌসুম কাটালেও দলগত কোনো অর্জন নেই আল-নাসরের। সেটিই হয়তো রোনালদোকে পোড়াবে বেশি। আলেকসান্দার মিত্রোভিচের গোলে ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই এগিয়ে যায় আল হিলাল। ব্রাজিলিয়ান ম্যালকমের ক্রসে খুব কাছ থেকে হেড করে বল জালে জড়ান সার্বিয়ান এই ফরোয়ার্ড। ৮৮ মিনিটই আয়মান ইয়াহিয়ার গোলে সমতা ফেরায় আল নাসর। এরপর অতিরিক্ত সময়ে কোনো দলই আর গোল করতে পারেনি। তাতে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

সেখানে আল নাসরের শেষ দুই শট হিলালের গোলরক্ষক ইয়াসির বোনু ঠেকিয়ে দিলে স্বপ্নভঙ্গ হয়ে নাসরের। এতেই ম্যাচ শেষে স্টেডিয়ামের ত্যাগের সময় অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় রোনালদো। তার অর্জনের খাতাটা চওড়া হলেও যেই ক্লাব ২৪ বছর পর শিরোপা এতো কাছে এসেও হারল, সেখানে আবেগটা এমন হওয়াটাই যেন স্বাভাবিক। সবশেষ ১৯৯০ সালে কিং কাপের শিরোপা জিতেছিল আল নাসর।

এদিকে চোটের কারণে গত অক্টোবর থেকেই মাঠের বাইরে আছেন নেইমার জুনিয়র। তবে খেলতে না পারলেও লিগ শিরোপার মতো এ দিনও ট্রফি জয়ের উদযাপনে সঙ্গী ছিলেন দলের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন একাধিক ছবি। সেই পোস্টে নেইমার লিখেছেন, ‘অবিশ্বাস্য এক বছরের জন্য দলকে অভিনন্দন। আজ আবারও তোমরা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছ।’ এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো কিং কাপ শিরোপা জিতল আল হিলাল। টুর্নামেন্টটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১টি শিরোপাও তাদেরই। এই তালিকার শীর্ষে আল আহলি, ১৩টি শিরোপা নিয়ে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.