ফাইজার-মডার্নার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই
ফাইজার-মডার্নার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, ফাইজার ও মডার্নার প্রথম ডোজের টিকা যারা যে কেন্দ্র থেকে গ্রহণ করেছেন তারা চার সপ্তাহ পরে একই কেন্দ্রে গিয়ে দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করতে পারবেন।
বুধবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চুয়াল বুলেটিনে ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এসব কথা বলেন। গত তিনদিন ধরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য কমেছে বলেও জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র বলেন, গত তিনদিন ধরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৪১৬টি নমুনা সংগ্রহ ও ৪৭ হাজার ৪২৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১ হাজার ১৬৪ জন রোগী শনাক্ত হয়। করোনা নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা হিসাবে রোগী শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। কিছুদিন আগেও এ হার ৩০ শতাংশের বেশি পৌঁছেছিল।
এদিকে চীনের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের আরও ৬ কোটি ডোজ টিকা কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
আজ বুধবার দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি ২৭তম সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা সিনোফার্ম থেকে ৬০ মিলিয়ন (৬ কোটি) ডোজ ভ্যাকসিন ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছি। হিসাব করে দেখেছি দেশের ১৩ কোটি ৮২ লাখ জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিনেটেড করতে হবে। তার জন্য ২৭ কোটি ৬৫ লাখ ভ্যাকসিন কেনা প্রয়োজন। এর মধ্যে ২ কোটি ৫৫ লাখ আমাদের হাতে আছে। বাকিটা সংগ্রহ করতে হবে। আজ আমরা ৬ কোটি ডোজ কেনার জন্য অনুমোদন দিলাম। বাকিটা পর্যায়ক্রমে আনব।
এর আগে সরকার চীনের কাছ থেকে সিনোফার্মের দেড় কোটি ডোজ ভ্যাকসিন ক্রয় করে। তার মধ্যে ৭০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে দেশে এসে পৌঁছেছে।