প্রার্থীরা ভোট চেয়ে এসএমএস পাঠাতে পারবেন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট চেয়ে ভোটারদের মোবাইল নম্বরে এসএমএস পাঠাতে পারবেন প্রার্থীরা। ব্যবহার করতে পারবেন দলীয় প্রতীক কিংবা দলের নাম। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) উপপরিচালক মো. আসিফ ওয়াহিদের সই করা এক বিজ্ঞিপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় কিংবা স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী যে কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে দল কিংবা ব্যক্তি ও প্রতীক উল্লেখ করে ভোট চাওয়ার জন্য এসএমএস পাঠাতে পারবেন। ওই প্রার্থী নির্বাচিত হলে তার এলাকায় জনগণের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেবেন তাও উল্লেখ করে এসএমএস পাঠাতে পারবেন।

১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা। নির্বাচিত হলে উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন। পাশাপাশি প্রার্থীরা এবার সক্রিয় ডিজিটাল মাধ্যমেও।

ফেসবুকের পাশাপাশি তারা ভোটারদের মোবাইলে খুদেবার্তাও পাঠাতে চান। মোবাইল অপারেটররা বলছে, সেবা নিতে প্রার্থীরা এরই মধ্যে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সেবা দিতে প্রস্তুত তারাও।

এর আগে কোনো নির্বাচনে মোবাইলে প্রার্থীর হয়ে এসএমএস পাঠানোর বিষয়ে বিটিআরসির একটি নির্দেশনা ছিল। দলীয় প্রতীক কিংবা দলের নাম ব্যবহার করে গ্রাহককে কোনো এসএমএস পাঠাতে পারবে না মোবাইল অপারেটররা। সেই নির্দেশনা সংশোধন করে বিজ্ঞপ্তি দিলো বিটিআরসি।

তফসিল অনুযায়ী, ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

যাচাই-বাছাই ও আপিল নিষ্পত্তি শেষে ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানায়, ২৭টি রাজনৈতিক দলের মোট ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.