প্রাণের অস্তিত্বের খোঁজ: মঙ্গলে নাসার রোবট

করোনায় প্রায় বিধ্বস্ত বিশ্বের জন্য বিরাট সুখবরই বটে। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে মঙ্গলগ্রহের মাটি ছুঁয়েছে নাসার তৈরি রোবট।

২৯৩ মিলিয়ন মাইল দূরের এই অভিযানের জন্য নাসার কর্মীরা উল্লাস করেছেন। জেজেরো নামে পরিচিত গ্রহটির বিষুবরেখার কাছে গভীর জ্বালামুখে আমেরিকান মহাকাশ সংস্থার পারসিভার্যান্স রোভার অবতরণ করেছে।

মিশনের উপপ্রকল্প ব্যবস্থাপক ম্যাট ওয়ালেস বলেন, আমি মনে করি, ভালো খবর হলো– মহাকাশযানটি ভালোভাবেই পৌঁছাতে পেরেছে।

পৃথিবীর নিকটতম গ্রহে রোভারটির পৌঁছানোর খবর আসার পর ক্যালিফোর্নিয়ার নাসার মিশন কন্ট্রোলের প্রকৌশলীরা আনন্দে লাফিয়ে ওঠেন।

ছয় চাকার এই যানটি আগামী অন্তত দুবছর মঙ্গলের পাথর খুঁড়ে নমুনা ও তথ্য সংগ্রহ করে দেখবে সেখানে অতীতে কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল কিনা।

কোটি কোটি বছর আগে জেজোরো একটি বিশাল লেক ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানে পানি ছিল, কাজেই প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনাও সেখানে ছিল।

বলা হচ্ছে, পারসিভার্যান্স হল মহাকাশে পাঠানো মানুষের বানানো সর্বাধুনিক অ্যাস্ট্রোবায়োলজি ল্যাব।

পৃথিবী থেকে মানুষ অবশ্য পারসিভের্যান্সের সফল অবতরণের বিষয়টি জানতে পেরেছে প্রায় ১১ মিনিট পর। মঙ্গল থেকে পৃথিবীতে সংকেত পৌঁছাতে ওই সময়টা লেগেছে।

কোভিড-১৯ মহামারিতে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ভয়াবহ বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বৃহস্পতিবার পারসিভার্যান্সের অবতরণ বিরাট খুশির খবর নিয়ে হাজির হয়েছে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউস থেকে নাসার মঙ্গলযানের অবতরণ পর্যবেক্ষণ করেছেন; পরে টুইটারে তিনি অভিযান সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানান।

You might also like

Comments are closed.