প্রবাসী আয়ে বাড়ছে রিজার্ভ
দেশে প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারায় বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। গত ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিজার্ভ ২০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৬ দশমিক ১১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬১১ কোটি ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৮৫ কোটি ডলার।
তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, তা হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুব একটা প্রকাশ করে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।
সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা ওপরে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়।
নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের ‘বিপিএম-৬’ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।
এদিকে চলতি মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম ২২ দিনে ১৯২ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে, দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) যার পরিমাণ প্রায় ২৩ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা। চলতি মাসে রেমিট্যান্স দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।