প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে সেই অদম্য তামান্না আক্তার নূরা বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে আবেদন করেছেন। বুধবার সকাল ৯টার দিকে তামান্না আক্তার নূরার বাসা থেকে আবেদনপত্রটি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসনের পক্ষে ঝিকরগাছা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. নাজিব হাসান।
এরপর যশোরের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আবেদনপত্রটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে তামান্না নূরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন তিনি সবসময় আমার পাশে আছেন। তার পরামর্শে আমি বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টে আবেদন করেছি। আমার স্বপ্নপূরণে পাশে থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা রইল।
এদিকে গত সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন করে তামান্নাকে অভিনন্দন জানিয়ে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে আবেদন করার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। ওই শেখ রেহানাও ফোন করে অভিনন্দন ও পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এরপর মঙ্গলবার সকালে তামান্নাকে শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এর আগে ২৪ জানুয়ারি দুটি স্বপ্নের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি লিখেছিলেন তামান্না আক্তার নূরা। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে সোমবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় পৃথক দুটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে কল দিয়ে তামান্নাকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। সেই কথোপকথনে প্রধানমন্ত্রী তামান্নাকে তার স্বপ্ন পূরণে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে আবেদন করার পরামর্শ দেন।
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান জানান, তামান্নার স্বপ্ন পূরণে পাশে দাঁড়িয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই কন্যা। আশা করি তামান্নার স্বপ্ন পূরণে আর কোনো বাধা থাকবে না।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া আলীপুরের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পী দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বড় তামান্না নূরা। তামান্না যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
রোববার প্রকাশিত ফলাফলে এসএসসির মতো এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি। এর আগে তামান্না ২০১৯ সালে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া জনাব আলী খান মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। একই ফল করেছিলেন পিইসি ও জেএসসিতেও।
বাবা রওশন আলী ঝিকরগাছা উপজেলার ছোট পৌদাউলিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসার (নন-এমপিও) শিক্ষক। মা খাদিজা পারভীন গৃহিণী। ছোট বোন মুমতাহিনা রশ্মি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ভাই মুহিবুল্লা তাজ প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।