প্রথমবার ইভিএম, মেয়র চাই আনিসের মতো, আতিক-তাবিথ-তাপস-ইশরাকের শত্রু অভিন্ন!
প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা সংক্ষেপে ইভিএম এর মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোনোরকম বিরতি ছাড়াই ঢাকার দুই সিটিতে মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ চলবে।
এর মাধ্যমে দক্ষিণ ও উত্তর- দুই সিটির প্রায় ৫.৪৫ মিলিয়ন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাবেন।
দুই সিটি মিলিয়ে মেয়র পদে লড়ছেন ১৩ জন প্রার্থী। যার মধ্যে উত্তরে ছয়জন এবং দক্ষিণে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ডিএনসিসি (উত্তর) নির্বাচনে মোট ৩৩৪ জন প্রার্থী ৭৩টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ৫৪টি পদে ২৫১ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ১৮টি সংরক্ষিত আসনে ৭৭ জন নারী প্রার্থী রয়েছেন।
অন্যদিকে ডিএসসিসি (দক্ষিণ) নির্বাচনে ৪১৬ জন প্রার্থী ১০১টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৭৫টি পদে ৩২৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ২৫টি সংরক্ষিত আসনে ৮২ জন নারী প্রার্থী রয়েছেন।
পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন দুই মেয়রসহ ১৭২ জন কাউন্সিলর।
মাল্টিনিউজটোয়েন্টিফোর এর রিপোর্টাররা গত বেশ কিছুদিন ঢাকা উত্তর এবং ঢাকা দক্ষিণের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেছেন জনপ্রতিনিধিদের কাছে তাদের ইচ্ছা ও প্রত্যাশা নিয়ে। বেশিরভাগ ভোটারই ঢাকা উত্তর সিটির প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের মতো মেয়র নিজেদের অঞ্চলে দেখতে চান বলে জানিয়েছেন। কারণ জানতে চাইলে তাদের সকলের উত্তর প্রায় একই- মেয়র আনিস ছিলেন সাহসী, উদ্যমী, স্মার্ট; স্বপ্ন দেখতে-দেখাতে এবং তা বাস্তবে রূপ দিতে চেষ্টা করতেন তিনি।
মেয়র এবং কাউন্সিলরদের কাছে চাহিদাও বেশি নয় সাধারণ ভোটারদের- স্বাচ্ছন্দ্যে এবং নিরাপদে রাস্তায় চলতে পারা ফুটপাথে নিরাপদে হাঁটতে পারা, মশা-আবর্জনা-ধুলোবালি-দূষণ-জলাবদ্ধতা মুক্ত পরিবেশ পাওয়া, যানজট ও দুর্নীতি থেকে রেহাই পাওয়া এবং সর্বোপরি মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে চান তারা৷
হ্যা, মশা। নানা ভিন্নতা, নানা বৈরিতার মধ্যেও প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের চার প্রার্থীর-ই একটি শত্রু অভিন্ন। আর সেটি হলো, মশা। চার হেভিওয়েট প্রার্থীর নির্বাচনী ইশতেহারেই ‘মশা নিধন’ ছিল প্রাধান্যের তালিকায়। দুই সিটির দুই বড় দলের চার প্রার্থীর ইশতেহারে মশার উপস্থিতিকে বেশ ইতিবাচকভাবেই দেখছেন বিশ্লেষক এবং সমালোচকরাও।
বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী যেমন মশা নিয়ে সরকারের ব্যর্থতার কথা বারবার ভোটারদের সামনে তুলে ধরেছেন, আওয়ামী লীগের দুজন আবার সেই মশা নিধনে সরকারের নেওয়া নানা কার্যক্রম গুরুত্বসহকারে তুলে ধরেছেন।
তবে সাধারণ ভোটাররা বলছেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি’কে তোয়াক্কা না করে এবার তারা প্রার্থীদের সব দিক বিচার-বিবেচনায় নিয়েই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

Comments are closed.