পাটুরিয়ায় ফেরি সার্ভিস বিঘ্নিত

পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাটুরিয়া ফেরিঘাটে পন্টুন ডুবে গেছে। তাই ফেরিতে যানবাহন লোড-আনলোড ব্যাহত হওয়ায় বিঘ্নিত হচ্ছে ফেরি সার্ভিস। এতে ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহন পারাপারে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে যানবাহন ও যাত্রীদের নির্বিঘ্নে নৌপথ পারাপারে জন্য কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।

বুধবার (৪ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। ডুবে যাওয়া পল্টুন ওপরে তুলতে কাজ করছে বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।

ঈদ উপলক্ষে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে দক্ষিণ-পশ্চিমালঞ্চের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষ। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় আসছে যানবাহন ও যাত্রীরা। নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি ও সাধারণ যাত্রীদের নদী পারাপারে লঞ্চ থাকায় ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তিতে ফেরিঘাট পার হচ্ছেন সবাই।

ঘাট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে দেশের অন্যতম বৃহৎ নৌবন্দর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা কমে আসে অর্ধেকে। তবে ঈদসহ যে কোনো উৎসবের সময় এই নৌপথে যানবাহন ও যাত্রী চাপ বাড়ে। কিন্তু নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় বিগত কয়েকটি ঈদে যানবাহন ও যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তিতে ফেরিঘাট পার হয়ে নিজ নিজ গন্তব্য পৌঁছেছেন। এবারে ঈদেও নদীপথ পারাপারে ভোগান্তি থাকবে না বলে দাবি করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ঈদে যানবাহন ও ঘরমুখো মানুষদের নিরাপদে নির্বিঘ্নে নৌপথ পারাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নৌপথে ছোট-বড় মিলে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। অন্যদিকে সাধারণ যাত্রীদের পারাপারের পাটুরিয়ায় ১৮টি লঞ্চ ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ১৩টি লঞ্চ চলাচল করবে বলে জানান পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার পান্না লাল নন্দী।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার উপমহাব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন বলেন, ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই নদী পারাপার হতে পারবে। তবে নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে ঘাট পন্টুন পানিতে ডুবে যাচ্ছে। পন্টুন স্বাভাবিক রাখতে বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি কাজ করছে। নৌপথে ছোট-বড় মিলে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। এবারের ঈদে যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তিতে নৌপথ পারাপার হতে পারবেন বলে জানান তিনি।

You might also like

Comments are closed.