পশ্চিম তীরে এক হাজার বাড়ি বানাবে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রায় এক হাজার অবৈধ বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। এরইমধ্যে এসব অবৈধ আবাসন ইউনিট নির্মাণের জন্য একটি দরপত্র জারি করেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
পশ্চিম তীরে বর্তমানে ৫ লাখের বেশি ইহুদি বাস করছে। ছবি: সংগৃহীত

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানিয়েছে পিস নাউ নামের অবৈধ বসতিস্থাপনবিরোধী একটি সংস্থা।

দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করে চলেছে ইসরাইল। ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ইসরাইলের ভূমি দখলকে অবৈধ ঘোষণা করার পাশাপাশি পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে বিদ্যমান বসতি খালি করার নির্দেশ দেয়।

এসবের তোয়াক্কা না করে অবৈধ বসতি স্থাপন অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। নতুন করে অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রায় এক হাজার অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।

সোমবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের ওয়াচডগ পিস নাউ জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে বেথলেহেমের দক্ষিণে অবস্থিত কৌশলগত এলাকা ইফ্রাত বসতিতে এই নতুন আবাসন ইউনিটগুলো নির্মাণের জন্য একটি দরপত্র জারি করেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।

সংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে অঞ্চলটিতে তাদের অবৈধ বসতি ৪০ শতাংশ বাড়বে। নতুন করে আবাসন ইউনিট স্থাপনের ফলে বেথেলহেমের উন্নয়ন আরও বাধাগ্রস্ত হবে।

বসতিস্থাপন পরিকল্পনার পর্যবেক্ষণ শাখার প্রধান হাগিত ওফরান জানান, নির্মাণ সংক্রান্ত চুক্তিটি অনুমোদন শেষে কাজ শুরু হবে। এতে সময় লাগতে পারে অন্তত এক বছর।

পশ্চিম তীরে প্রায় ৩০ লাখ ফিলিস্তিনির বসতি রয়েছে। তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর এখানে ইহুদিরা বসবাস শুরু করে। বর্তমানে ৫ লাখের বেশি অবৈধ ইহুদি বাস করছে অঞ্চলটিতে।

এদিকে, হামাসের ৫০০ দিনের প্রতিরোধ, হাওয়ায় মিলিয়ে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে মার্কিন ও ইসরাইলি প্রশাসন। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার গাজা দখলের পরিকল্পনা তুলে ধরেন বিশ্ববাসীর সামনে। তার এই পরিকল্পনায় পূর্ণ সমর্থন দেন নেতানিয়াহু।

সোমবার এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ট্রাম্পের গাজাকে নতুন করে গড়ে তোলার পরিকল্পনার প্রতি ইসরায়েল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৫ মাসের এই সংঘাতের পরও অবরুদ্ধ এই অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ হামাস কিংবা ফিলিস্তিনের হাতে যাবে না।

তবে, ট্রাম্পের এমন পরিকল্পনায় একমত নয় মিশর এবং জর্ডান। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদেরকে নিজেদের ভূখণ্ডে আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তারা।

এমনকি ট্রাম্পের সঙ্গে জর্ডানের রাজার বৈঠকের পরও এ বিষয়ে কোনো কূটনৈতিক বোঝাপড়ায় যায়নি জর্ডান।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.