পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বিআরটিএর বৈঠক চলছে
জ্বালানি তেলে প্রতিদিনের ২০ কোটি টাকার লোকসান পোষাতে সরকার প্রতি লিটারে ১৫ টাকা করে মূল্য বৃদ্ধি করেছে। এই প্রেক্ষাপটে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘট ডেকেছেন। এতে অচল দেশের পরিবহন ব্যবস্থা। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে। এই অচলাবস্থা কাটাতে ধর্মঘটের তৃতীয় দিনে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী নতুন ভাড়া নির্ধারণের জন্য বৈঠক শুরু হয়েছে। আজ রবিবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার পর রাজধানীর মহাখালীতে বিআরটিএ ভবনে এ বৈঠক শুরু হয়।
জানা গেছে, বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার। এছাড়াও আরো উপস্থিত আছেন- বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ। বিআরটিএর পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মো. সরওয়ার আলমসহ ক্যাবের প্রতিনিধিসহ আরো অনেকেই উপস্থিত আছেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া পরিবহন মালিকদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন করে ভাড়া নির্ধারণ করা না হলে মালিকদের অনেক সমস্যায় পড়তে হবে। বৈঠকে তাদের দাবি থাকবে ভাড়া পুনর্নির্ধারণের।
এদিকে, ধর্মঘটের কারণে সড়কে চলছে না কোনো বেসরকারি বাস। তবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, লেগুনা চলাচল করছে। তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে কিছু বিআরটিসির বাস চলাচল করেছে। বেসরকারি বাস না চলায় সড়কের আর যাত্রীদের দখল নেয় রিকশা, সিএনজি, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল।
অ্যাপের বদলে বেশির ভাগ মোটরসাইকেল খ্যাপে চলছে। ধর্মঘটের কারণে অটোরিকশা, রিকশা, লেগুনায় নেওয়া হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায়ই গন্তব্যে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। কেউ কেউ নিরুপায় হয়ে ঝুঁকি নিয়ে ভ্যান, কাভার্ডভ্যানে চড়েও যাচ্ছেন কর্মস্থল ও গন্তব্যে।