পবিত্র রমজান ও ঈদ কবে হতে পারে জানাল সংযুক্ত আরব আমিরাত

নতুন বছর আসার সঙ্গে সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) বাসিন্দারা ছুটি ও ভ্রমণের পরিকল্পনা শুরু করেছেন। দেশটির সরকারি ১২ দিনের ছুটির মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ পড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উপলক্ষে। গালফ নিউজ

সরকারি আইন অনুযায়ী ঈদের তারিখ পরিবর্তন করা যায় না। এগুলো নির্ধারিত হয় ইসলামিক হিজরি ক্যালেন্ডারের ওপর এবং চাঁদ দেখা অনুযায়ী। তবে জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক হিসাবের মাধ্যমে সম্ভাব্য তারিখ অনুমান করা সম্ভব।

ঈদুল ফিতরের ছুটি চার দিন
জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৬ সালে ঈদুল ফিতর শুক্রবার, ২০ মার্চ শুরু হতে পারে।

এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান জানিয়েছেন, ১৪৪৭ হিজরির রমজান মাসের চাঁদ মঙ্গলবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দেখা যেতে পারে। এর ভিত্তিতে রমজান শুরু হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি এবং ২৯ বা ৩০ দিন চলবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, রমজান পূর্ণ ৩০ দিন না হলেও শেষ দিনটি ঈদের ছুটির সঙ্গে যুক্ত হবে। ফলে ১৯ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত চার দিনের ছুটি হতে পারে।

ঈদুল আযহার ছুটি ছয় দিন
২০২৬ সালে ঈদুল আযহা হতে পারে বছরের সবচেয়ে দীর্ঘ সরকারি ছুটি। এই ছুটি শুরু হবে আরাফাত দিবস (জিলহজ ৯) থেকে এবং চলবে জিলহজ ১০, ১১ ও ১২ পর্যন্ত।

ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিজ ডিপার্টমেন্ট (আইএসিএডি) এর সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আরাফাত দিবস হতে পারে ২৬ মে এবং ঈদুল আযহা শুরু হবে ২৭ মে।

ছুটি ২৯ মে পর্যন্ত চলবে। সপ্তাহান্তের শনিবার ও রোববার মিলিয়ে, বাসিন্দারা সর্বোচ্চ ছয় দিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।

অন্য সব ইসলামি ছুটির মতোই সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঈদের চূড়ান্ত তারিখ নির্ভর করে চাঁদ দেখার ওপর। কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময়ের কাছাকাছি এসে চূড়ান্ত ছুটির তারিখ নিশ্চিত করে।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.