পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মোট খরচ থেকে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আমরা ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয়ের মধ্যে ১৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি। গত দুই বছরে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ হয়েছে। ৩০০ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ১১৪তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী সভাপত্বি করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ আমাদের দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন।
দুই বছর আগে আজকের এই দিনে আমাদের প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়। এটি সাহসের সোনালী ফসল। নিজের টাকায় সেতু নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। আজকের দিনে যার সাহসের সোনালী ফসল দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
এই সেতুর সঙ্গে নির্মাণ কাজে যারা জড়িত ছিলেন তাদের সবাইকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি। গণভবনে আগামী ২৭ জুন সবার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ করবেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা সেতুর সুফল আমরা ভোগ করছি। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তিন কোটি মানুষ। এই পর্যন্ত এক কোটি ২৭ লাখ যান পারাপার হয়েছে।
অর্থ বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কতৃপক্ষের চুক্তি অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৯৪৮ কোটি টাকা এরইমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে। আগামী ২৭ জুন আরো ৩১৪ কোটি টাকার চেক গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে অর্থ বিভাগকে হস্তান্তর করা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ফার্মগেট পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হয়েছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পের কাওলা থেকে ফার্মগেট পযন্ত উন্মুক্ত করে দেন। এরইমধ্যে মোট ১৬টি পথ দিয়ে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। এই সড়কে আপাতত গাড়ি চলার সর্ব্বোচ গতি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৪.৫৮ শতাংশ। এদিকে ঢাকা আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সার্বিক অগ্রগতি ৪৪ ভাগ কাজ হয়েছে।