পদ্মা সেতুতে ২০২৪ সালে চলবে ট্রেন
রেলপথ বসানোর কাজ জুলাইয়ের মধ্যে শুরুর কথা জানিয়েছেন পদ্মা বহুমুখী সেতু ও পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের কর্মকর্তারা। রেলপথ বসাতে সময় লাগবে কমবেশি ছয় মাস। সড়কপথটি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে যান চলাচলের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। তবে রেলপথ স্থাপনের কাজ চলাকালে ঝুঁকি এড়াতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি রাখা হতে পারে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্প সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতু তৈরি করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত পৃথক প্রকল্পে নতুন ১৬৯ কিলোমিটার ব্রড গেজ রেলপথ তৈরি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শুরুতে পরিকল্পনা ছিল—পদ্মা সেতুতে যেদিন থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হবে, সেদিন থেকেই ট্রেন চালানোর। তবে রেলসংযোগ কাজের ধীরগতির কারণে এ পরিকল্পনা থেকে সরে আসে সরকার। রেলপথটির একটি অংশ (ঢাকা-ভাঙ্গা) চালুর লক্ষ্য ধরা হয়েছে চলতি বছরের ডিসেম্বরে। আর পুরো রেলপথটি চালু হবে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে। রেলপথমন্ত্রীও জানিয়েছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরে ঢাকা-মাওয়া এবং জাজিরা-ভাঙ্গা রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হবে।
জুলাই থেকে পদ্মা সেতুর ওপর রেলপথ স্থাপনের কাজ শুরু হলে পুরো কাজটি শেষ করতে চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, মূল সেতুর ওপর রেললাইন স্থাপনের কাজ করার সময় সেতুতে ঝাঁকুনি তৈরি হবে। এ ঝাঁকুনির কারণে ওপর দিয়ে যান চলাচল বিঘ্নিত হতে পারে। এ সময়ে পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল কিছুটা নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তারা।
প্রসঙ্গত, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজে ব্যয় হয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। অন্যদিকে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটির অগ্রগতি হয়েছে ৫৪ শতাংশ। একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তিনটি আলাদা অংশে বাস্তবায়ন করছে এ প্রকল্প। এর মধ্যে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশের অগ্রগতি ৭৭ শতাংশ। ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত অংশের অগ্রগতি ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ। আর ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত অংশের অগ্রগতি ৪৬ শতাংশ। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ।