নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকছে না জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা
জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা আর থাকছে না নির্বাচন কমিশনের অধীনে। এমনকি , জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, বিবাহ, তালাক ও দত্তক নিবন্ধন সবাই চলে আসছে এক ছাতার নিচে। স্বাধীন সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশনের মাধ্যমে পরিচালিত হবে এসব কার্যক্রম। এরইমধ্যে সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন অধ্যাদেশ ২০২৫ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
জাতীয় পরিচয়পত্র এখন আর শুধু ভোটার আইডি কার্ড নয়, বরং একজন নাগরিকে যাবতীয় দাপ্তরিক কাজে এটি অতিপ্রয়োজনীয়। জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়- জন্ম নিবন্ধন, বিবাহের সনদ, বাবা মা মৃত হলে তাদের মৃত্যু সনদসহ আরো বেশকিছু দলিলাদি। কিন্তু, এই একেকটি দলিলের জন্য একেক দপ্তর কিংবা বিভাগে ধর্না দিতে নাগরিককে। এবার সবকিছু এক ছাতার আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০২৩ এর মাধ্যমে এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের অধীনে নিয়ে যাওয়ার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা বাতিল করে দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী গঠন করা হয়, সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন। স্বাধীন এই কমিশনের অধীনে থাকবে এনআইডি, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, বিবাহ, তালাক দত্তক নিবন্ধন, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার তথ্য উপাত্ত সার্বিক সমন্বয়।
সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন অধ্যাদেশ ২০২৫ এর ১১ এর খ উপধারায় বলা হয়, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা, পরিচয়পত্র প্রস্তুতকরণ, বিতরণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ করবে স্বাধীন এই কমিশন। অর্থাৎ এনআইডি সেবা আর থাকছে না নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তবে মঙ্গলবার ইসি সচিব জানেন, এনআইডি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া তিনি জানে না নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘এনআইডি নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে নিয়ে যাওয়ার কোনো বিষয়ে আমি স্পষ্টভাবে কিছু জানি না। এনআইডির কাঠামোগত অবস্থানটা আরো ব্যাপ্ত করার জন্য কেবিনেট ডিভিশন একটা উদ্যোগ নিয়েছে। কেবিনেট ডিভিশনে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।’
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব নাগরিক সেবা এক ছাতার নিচে আসার এই উদ্যোগে হয়রানি কমে আসবে জনগণের।