নির্বাচনী জোট গড়ার ভাবনায় এনসিপি, যোগাযোগ শুরু

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।  আত্মপ্রকাশের পর থেকেই নির্বাচনী জোট গঠনের জন্য বিভিন্ন দলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে।

সূত্র জানায়, এনসিপি তাদের নির্বাচনী জোট গঠনে বিএনপিসহ আরও তিনটি দলের সঙ্গে আলোচনা করছে। এসব দলের মধ্যে রয়েছে এবি পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজিপি) এবং এক নাম না জানা একটি দল।

এনসিপি দলের নেতারা মনে করছেন, এভাবে তারা তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে পারবেন এবং ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন।

এনসিপির এক নেতা জানান, দলের প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তারা নির্বাচনী জোট নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা বলেন, ‘প্রতিটি দলের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। আমাদের দল খুব শিগগিরই প্রতীক চূড়ান্ত করবে এবং নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করবে।’ নির্বাচনের সময় যেকোনো দলের সঙ্গে জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে—এমনটাই মনে করছেন তারা।

এদিকে, বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য দলও এনসিপির সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার চেষ্টা করছে। বিএনপি প্রথমে এনসিপিকে ৫-৭টি আসন দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও, এখন তারা ২০-২৫টি আসন দিতে আগ্রহী।

এনসিপির একটি সূত্র জানায়, বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।

অন্যদিকে, জামায়াতও এনসিপির সঙ্গে নির্বাচনী জোট গড়তে চায়। জামায়াতের নেতারা মনে করছেন, এনসিপি তাদের দলের সঙ্গে যোগ দিলে নির্বাচনী হিসাব পাল্টে যেতে পারে। তবে এনসিপির কিছু অংশ জামায়াতের সঙ্গে জোট গঠনে আগ্রহী নয়। তারা অন্য দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠন করতে চায়, বিশেষ করে ইসলামী দলগুলো ছাড়া।

এনসিপির নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনের সময় তারা যেকোনো দলের সঙ্গে জোট গঠনের প্রস্তুতি নেবে। দলের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘নির্বাচনের সময় যেকোনো দলের সঙ্গে জোট গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এখনো অনেক দেরি।’

এদিকে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। সরকার জনচাহিদা অনুযায়ী কিছু সংস্কার কার্যক্রম শুরু করলেও, বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল সরকারকে চাপ দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.