‘নির্ধারিত সময়ের আগেই পদ্মা সেতুর খরচের টাকা উঠে আসবে’
সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সংসদের বাজেট অধিবেশনে সমাপনাী বক্তব্য রাখেন। ছবি ফোকাস বাংলা
সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সংসদের বাজেট অধিবেশনে সমাপনাী বক্তব্য রাখেন। ছবি ফোকাস বাংলা
নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই পদ্মা সেতুর খরচের টাকা উঠে আসবে বলে জাতীয় সংসদে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৫ বছরের মধ্যে খরচের টাকা উঠে আসার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক আগেই পদ্মা সেতুর টাকা তুলে ফেলা সম্ভব হবে। কারণ এই সেতুর যোগাযোগটা আরো বিস্তৃত হবে। কাজেই ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমাদের টাকা উঠে আসবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে সংসদের প্রশ্নোত্তরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, ৩৫ বছরে পদ্মাসেতুর নির্মানের খরচের টাকা সেতু বিভাগ পরিশোধ করবে। ২০৫৭ সালের মধ্যে এই টাকা পরিশোধ হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন।
বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি অনুযায়ী টোল আদায়ের মাধ্যমে ২৫ থেকে ২৬ বছরে খরচ উঠে আসার পূর্বাভাস ছিলো। নিজস্ব অর্থায়নের এই খরচের টাকা সেতু কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে। ১ শতাংশ সদুসহ ২৫ বছরে সরকারকে ফেরত দেবে। সেই চুক্তি করে সেতু কর্তৃপক্ষ ঋণ নিয়েছে। এই সেতু হয়েছে আমাদের নিজের টাকায়। আমি মনে করি অনেক আগেই আমরা এই সেতুর টাকা তুলে ফেলতে পারবো। কারণ এই সেতুর যোগাযোগটা আরো বিস্তৃত হবে। কাজেই ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমাদের টাকা উঠে আসবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা যেভাবে উন্নতি হয়েছে তাতে এই সেতু আমাদের জন্য অনেক লাভজনক হবে। আমাদের অনেক বেশি উন্নতি হবে বলে বিশ্বাস করি। পদ্মা সেতুর সফল সমাপ্তিতে আমাদের বেশকিছু প্রাপ্তি যুক্ত হবে। এই সেতু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে চুক্তি সম্পাদনে স্বকীয়তা বজায় রাখতে উদ্বুদ্ধ করবে।
পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় বৃদ্ধির কারণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, সড়ক সেতুর সাথে রেলপথ যুক্ত, নদী শাসনের পরিমাণ বৃদ্ধি, অধিগ্রহণকৃত জমির পরিমাণ মূল্য ও পরিমান বৃদ্ধি, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, পাইলিংয়ের গভীরতা বৃদ্ধিসহ যেসব কারণে ব্যয় বেড়েছে তার বিস্তারিত তথ্য সমাপনী বক্তব্যে তুলে ধরেন সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী খাতভিত্তিক ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, সেতু নির্মাণের ব্যয় নিয়ে বেশি বিতর্ক সৃষ্টি চেষ্টা করা হয়েছে। নদী শাসন, পুনর্বাসন, ইউটিলিটি সুবিধাসহ অন্যান্য ব্যয় বাদ দিয়ে শুধু সেতুর ১১ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। যে কোন বিচারে এই ব্যয় সাশ্রয়ী। সমসাময়িক সময়ে নির্মিত সব সেতুর তুলনায় এই সেতুর ব্যয় অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ। যৌক্তিকতার বাইরে কোন কাজ বা ব্যয় অন্তর্ভূক্তির কোন সুযোগ ছিলো না। এই ব্যয় যে কোন বিচারে অত্যন্ত কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে। এখানে দুর্নীতির কোন সুযোগই ছিলো না।