নামাজ ছুটে গেলে তাৎক্ষণিক করণীয়

প্রতিদিন পাঁচবার নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ আদায় করা ফরজ। দৈনন্দিন জীবনে সবারই ব্যস্ততা থাকে। তবে নামাজ আদায়ে খুব বেশি সময় লাগে না। কখনো কখনো ব্যস্ততা, ভ্রমণ, অসুস্থতা কিংবা অনিবার্য কারণবশত নামাজ বাদ পড়ে যায়। কখনো আবার অবহেলা বা ভুলের কারণেও এমন ঘটে। এমন পরিস্থিতির ক্ষেত্রে পরবর্তীতে কাজা করার সুযোগ আছে।

ইসলামের নির্দেশনা হলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নামাজ আদায়ের চেষ্টা করা। কারণ, নামাজের সময় অন্যান্য সব কর্ম ব্যস্ততা বাদ দিয়ে মানুষ শুধু আল্লাহ তায়ালাকেই স্মরণ করে, তার প্রতি মনোযোগী হয় এবং দোয়া ও মোনাজাতে জন্য সময়টিকে নির্ধারণ করে।

নামাজ বাদ পড়লে কী করতে হবে?

ইসলামী শরিয়তের প্রচলিত নিয়ম হলো কোনো কারণে সময়মতো নামাজ পড়তে না পারলে যত দ্রুত সম্ভব নামাজ ছুটে যাওয়া নামাজ আদায় করে নেওয়া; একে কাজা বলা হয়।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অফিসের জরুরি মিটিংয়ের কারণে যদি কেউ জোহর না পড়তে পারেন, তাহলে মিটিং শেষে সময় থাকলে তখনই সঙ্গে সঙ্গে আদায় করে নেবেন। অন্যথায় কাজা আদায় করতে হবে। আর যদি ইতোমধ্যেই পরবর্তী নামাজের সময় এসে যায়, তাহলে আগে ছুটে যাওয়া নামাজ, এরপর বর্তমান সময়ের নামাজ পড়তে হবে।

তবে নামাজ ছুটে যাওয়া কোনো তুচ্ছ বিষয় নয়। সচেতন মুসলিমরা প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন এবং কাজা হলে দ্রুত তা আদায় করে নেন। নিয়মিত বৈধ কারণ ছাড়া নামাজ ছেড়ে দেওয়া, যেমন প্রতিদিন ফজর নামাজের সময় ঘুমিয়ে থাকা মারত্মক গুনাহ হিসেবে গণ্য হবে।

তারপরও ইসলামে তওবার দরজা সবার জন্য খোলা। নামাজ ছুটে গেলে প্রথমত বাদ পড়া নামাজ আদায় করতে হবে। এরপর অবহেলা বা ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভবিষ্যতে সময়মতো নামাজ আদায়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.