নাইট ডিউটিতে ডাক্তার-নার্সের দৈহিক সম্পর্ক, ধর্ষণ মামলায় চিকিৎসক জেলে

রাজশাহীতে বেসরকারি একটি হাসপাতালে এক নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। নাইট ডিউটিতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে নার্সের অভিযোগ। পরে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের হলে অভিযুক্ত ডাক্তারকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) আরএমপির রাজপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল আলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম আহসান হাবিব। তিনি নওগাঁর নিয়ামতপুর থানার সীমন্তপুর ইউনিয়নের নুরুল ইসলামের ছেলে। রাজশাহী নগরীর লক্ষিপুরে আল আরাফা ক্লিনিকে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।

ভুক্তভোগী নার্সের অভিযোগ, দুই বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। এরপর তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখান ওই ডাক্তার। প্রলোভন দেখিয়ে আল আরাফা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গত ৯ অক্টোবর রাত্রীকালীন (নাইট) ডিউটির সময় তাকে ডেকে নেন আহসান হাবিব। এরপর তার রুমে সারারাত ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। পরে তিনি জানতে পারেন, ওই ডাক্তার অন্যত্র বিয়ে করেছেন। তাকে আর বিয়ে করতে চান না। ফলে বাধ্য হয়ে ২৩ অক্টোবর তিনি থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

আল আরাফা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। চিকিৎসককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তার শাস্তি হওয়া উচিত।

তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, লক্ষিপুরের সব ক্লিনিকে দৈনিক ৪০০-৫০০ টাকায় চুক্তিভিত্তিক ডিউটি ডাক্তার রাখা হয়। আল আরাফা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সে হিসেবেই ছিলেন আহসান হাবিব। ওই নার্স ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত। আগে থেকে তারা পরিচিত এবং তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রাতে তারা দু’জন শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। পরে নার্স জানতে পারেন, ডাক্তার অন্যত্র বিয়ে করেছেন। ফলে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। বিয়েতে ডাক্তার রাজি না হওয়ায় পরে ওই নার্স মামলা দায়ের করেন।

রাজপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল আলিম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে।

You might also like

Comments are closed.